১৪ এপ্রিল, ২০২৩
ছবি: সংগৃহীত
নাম ফখরুল আলম (লাভু হাওলাদার)। ভোলা সদর উপজেলার উত্তরদিঘলদী ৯নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক। কয়েক বছর প্রবাসে ছিলেন, প্রবাসে ততটা অর্থনীতিক ভাবে লাভবান হতে পারেননি। চলে আছেন গ্রামের বাড়ী ভোলার উত্তরদিঘলদীতে। বাড়ীতে কয়েকমাস থেকে চলে যান ঢাকায়।
কিছুদিন ঢাকায় থেকে আবার এলাকায় এসে তদবির সুপারিশ করে ভাগিয়ে নেন ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সম্পাদকীয় পদ। আওয়ামীলীগের নেতা হয়ে আর পিছনে তাকাতে হয়নি লাভুর! গড়ে তুলেন পদ্মার আড়ালে একটি বাহিনী। নাম বিক্রি করতেন ভোলার আওয়ামীলীগের জনপ্রিয় দুই নেতার।
ক্লিন ইমেজের দুই নেতার নাম যেখানে সেখানে বিক্রি করে এলাকায় প্রভাব বিস্তার করে ক্ষমতাধর হয়ে যান লাভু। এলাকায় আলিশান বাড়ী, দুই এক মাস পর পরই দামী দামী মোটরসাইকেল নেওয়া এ যেন এক আলাদীনের চেরাগ পাওয়ার মত বনে যান ফখরুল আলম লাভু হাওলাদার।
লাভু হাওলাদার এর এমন আলিশান চলাফেরা রহস্য জাগে সচেতন মহলের। অনুসন্ধানে নামেন সংবাদকর্মীরা। ১৩ই এপ্রিল দুপুরে উত্তরদিঘলদী ৯নং ওয়ার্ডে গিয়ে কথা হয় সাধারণের মানুষের সাথে। সবাই বলেন লাভু হাওলাদার এই অঞ্চলের লর্ড তবে কোথায় তার এই অর্থের রহস্য সেই প্রশ্ন এলাকাবাসীর ও ছিলো কিন্তু ভয়ে ক্যামেরার সামনে মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছে না এলাকাবাসী।
সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে এগিয়ে আসেন ৭. ৮.৯ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা মেম্বারের ছেলে ছাত্রলীগ নেতা মোঃ রাব্বি ।
তিনি বলেন লাভু হাওলাদার আমাদের এলাকায় কোন বালু ব্যবসায়ী বা অন্য কোন ব্যবসায়ীরা আসলে তাদের গিয়ে বলেন অমুক নেতাকে টাকা দিতে হবে, এই বলে টাকা তুলেন আবার বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে বলতেন অমুক ভাই সালাম জানিয়েছে ।
এ ভাবে তিনি টাকা পয়সার মালিক হয়েছেন। রাব্বি বলেন সাধারণ মানুষ লাভুর ভয়ে কিছু বলে না। কোন মানুষ প্রবাস থেকে আসলে কোন ব্যবসা বাণিজ্য করে বা চাকুরী করে কিন্তু লাভু জমিদারী স্টাইলে চলাফেরা করে। তার আয়ের উৎস কি? লাভু রং এর কাজ ও করেছে আর আজ সে রাতারাতি অনেক টাকার মালিক।
প্রতি মাসে দামী দামী মোটরসাইকেল কিনে এ টাকা কয় পায়? নাই কোন ব্যবসা, নাই কোন চাকুরী তাহলে টাকা আসে কই থেকে? প্রশাসন ও গোয়েন্দা সংস্থা বিষয়টি অনুসন্ধান করলেই উম্মোচন হবে লাভু হাওলাদারের মুখোশ।
তবে লাভু হাওলাদার এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন আপনারা চেয়ারম্যান এর কাছ থেকে জানেন।
Good news
Good