২৫ নভেম্বর, ২০২৪
ছবি: প্রধান শিক্ষক
সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার নোয়ারাই ইউনিয়নের মানিকপুর-গোদাবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বাবুলাল শর্মার বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও অবসরপ্রাপ্ত কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ আব্দুল হামিদ গত ৯ জুলাই প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর বরাবর অভিযোগ দাখিল করেন।
অভিযোগের ভিত্তিতে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা দোয়ারাবাজার উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা দ্বীন মোহাম্মদকে তদন্ত কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেন। গত ২৩ সেপ্টেম্বর তিনি বিদ্যালয়ে গিয়ে ২০১৮ থেকে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত নথিপত্র পর্যালোচনা করেন। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রায় ১১ লাখ টাকার উন্নয়ন বরাদ্দের মধ্যে মাত্র ২৫-৩০ শতাংশ খরচের প্রমাণ মেলে। বাকি টাকার কোনো হিসাব দিতে পারেননি প্রধান শিক্ষক বাবুলাল শর্মা।
তদন্তের পর দ্বীন মোহাম্মদ উভয় পক্ষকে সমঝোতার প্রস্তাব দিলেও অভিযোগকারী আব্দুল হামিদ এতে রাজি হননি। তিনি বলেন, “দুর্নীতির বিরুদ্ধে আপোষ করব না।”
আব্দুল হামিদের দাবি, তদন্ত কর্মকর্তা অভিযুক্তের কাছ থেকে উৎকোচ গ্রহণ করে তার পক্ষে প্রতিবেদন দিচ্ছেন। এ বিষয়ে দ্বীন মোহাম্মদ বলেন, “কিছু অনিয়ম হয়েছে, তবে উভয়ের বক্তব্য নিয়েছি। তদন্তে সবার আস্থা রাখা সম্ভব নয়।”
অভিযোগকারী বলেন, দুর্নীতির সুষ্ঠু তদন্ত না হলে দুর্নীতিবাজরা পার পেয়ে যাবেন, যা সমাজে বৈষম্য আরও বাড়াবে।
Good news
Good