১০ জানুয়ারী, ২০২৩
ছবি: মির্জাপুর (টাঙ্গাইল): পিপলস ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন এনজিও’র গ্রাহকদের একাংশ ও গ্রাহক বই।
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে পিপলস ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন নামে এক এনজিওর ব্যাবস্থাপনা পরিচালক ও এক পরিচালক মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের ১৫ লক্ষ টাকা সহ গ্রাহকের প্রায় অর্ধকোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে বিদেশে পারি জমিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। টাকা ফেরত পেতে ভ’ক্তভোগী গ্রাহকরা থানায় অভিযোগ করেছে বলে জানা গেছে।
জানা গেছে, ২০০৭ সালে উপজেলার বরাটি বাজারে এই এনজিওটি স্থাপিত হয়। উপজেলা সমাজ সেবা কার্যালয় থেকে নেওয়া রেজিস্ট্রেশন নাম্বার টমি-১৯২৪। এরপর থেকে এনজিওটি ভাতগ্রাম ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে গ্রাহক তৈরি করে ক্ষুদ্র ঋণ কার্যক্রম শুরু করে।মুলধনের বিপরীতে অধিক মুনাফার লোভ দেখালে দুই বছরের মধ্যে তাদের গ্রাহক সংখ্যা পাঁচশ ছাড়িয়ে যায়।
এনজিওটির কার্যক্রম দেখে ভাতগ্রাম ইউনিয়নের দাসপাড়া গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা জামাল ভুঞার দুই ছেলে বিদেশ ফেরত দেলজুর রহমান ও দেলুয়ার কয়েক বছর পূর্বে ১৫ লাখ টাকা জমা রাখেন। তাদের দেখে একই গ্রামের রহমত খান, শিউলী বেগম, রুমা বেগমসহ অনেকেই মোটা অঙ্কের টাকা ওই এনজিওতে জমা রাখেন। প্রথমদিকে এনজিওটির লেনদেন ঠিকঠাক থাকলেও বিগত তিন বছর ধরে তাদের বরাটি বাজারের প্রধান কার্যালয় বন্ধ করে দিয়ে গোপনে সঞ্চয় সংগ্রহ করলেও গ্রাহকের মুনাফার টাকা দিতে নানা টালবাহানা করতে থাকে। এ নিয়ে ভাতগ্রাম ইউপি কার্যালয়ে একাধিক শালিশ বৈঠক হলেও কোন সুরাহা হয়নি। নিরুপায় হয়ে ভুক্তভোগী এক গ্রাহক ভাতগ্রাম দাসপাড়া গ্রামের জামাল ভুঞার ছেলে দেলজুর রহমান সম্প্রতি মির্জাপুর থানায় একটি অভিযোগ করেন। লিখিত অভিযোগে ওই এনজিওর পরিচালক বাবুল হাসান বিদেশে পারি জমিয়েছেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে । এছাড়া সম্প্রতি এনজিওটির ব্যাবস্থাপনা পরিচাক লিপি বেগমও বিদেশে পারি জমিয়েছেন বলে দেলজুর রহমানসহ ওই এনজিও’র একাধিক গ্রাহক জানিয়েছেন।
ভুক্তভোগী গ্রাহক রহমত আলী , রজ্জব, রুমা ও শিউলী জানান, তাদের কাছ থেকে অধিক মুনাফার কথা বলে ১০ লাখ টাকা জমা নেন এনজিওটি কর্মকর্তারা। আমাদের প্রয়োজনের সময় টাকা চাইলে দেই দিচ্ছি বলে গত তিনি বছর যাবৎ নানা টালবাহানা করছে। এখন তাদের খুজেই পাওয়া যাচ্ছেনা বলে তারা জানান।
এনজিওটি ব্যাবস্থাপক লিপি বেগম, সহকারী ব্যাবস্থাপক শাহ্ আলম এবং মাঠকর্মী পারভীন আক্তারের মুঠোফোনে বার বার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও বন্ধ পাওয়া গেছে।
এব্যাপারে ভাতগ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান আজহারুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এবিষয়ে একাধিকবার বসা হলেও এনজিও কর্তৃপক্ষ তাদের দেওয়া কথা অনুযায়ী কাজ করেনি।
মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ আবু সালেহ মাসুদ করিম অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করে সাংবাদিকদের বলেন বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
Good news
Good