১০ অক্টোবর, ২০২৫
রইচ উদ্দীন আহম্মেদ,
ছবি: মান্দায় ‘মানবতার সুযোগে’ জমি দখল! অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন
নওগাঁর মান্দায় বৈধভাবে ক্রয়কৃত জমির দখল না পেয়ে হয়রানির শিকার হওয়ার অভিযোগ তুলেছেন এক ভুক্তভোগী। তার দাবি, মানবিক কারণে সাময়িক আশ্রয় দেওয়ার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে জমিটি দখলের চেষ্টা চলছে।
আজ শুক্রবার (১০ অক্টোবর) সকাল ১১টায় বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ইউনিয়ন মান্দা শাখা কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে উপজেলার সাফাপুর গ্রামের মো. অহির উদ্দিন মন্ডল এই অভিযোগ তোলেন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, ১৯৯৫ সালে তিনি হাসিনা বেগমের নিকট থেকে জমিটি বৈধভাবে ক্রয় করেন। জমিতে একটি মাটির ঘর থাকায় মানবিক কারণে হাসিনা বেগমের পরিবারকে সাময়িকভাবে সেখানে বসবাসের অনুমতি দেন। কিন্তু পরে অনুরোধ সত্ত্বেও তারা জায়গা ছাড়েননি।
অহির উদ্দিন মন্ডলের অভিযোগ, সম্প্রতি তারা মাটির ঘরটি ভেঙে ফেলে সেখানে পাকা ঘর নির্মাণের প্রস্তুতি নেয়। গত ২৬ সেপ্টেম্বর নির্মাণকাজ শুরু করলে তিনি বাধা দেন। কিন্তু বিবাদীপক্ষ ১৫–২০ জন ভাড়াটে লোক এনে জোরপূর্বক দখল করে নির্মাণকাজ চালিয়ে যায়।
তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দিলে পুলিশ কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়। কিন্তু পুলিশ চলে যাওয়ার পর বিবাদীপক্ষ পুনরায় কাজ শুরু করে। পরে আদালতে মামলা করলে আদালত নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। তবুও আদালতের আদেশ অমান্য করে নির্মাণকাজ অব্যাহত থাকে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
অহির উদ্দিন মন্ডল দাবি করেন, তিনি বিষয়টি সেনাবাহিনী ক্যাম্পেও জানান। সেনা সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে নির্মাণ বন্ধ রাখতে নির্দেশ দেন, কিন্তু সেই নির্দেশও অমান্য করা হয়।
এমন অবস্থায় ৪ অক্টোবর বিবাদীপক্ষের বাড়িতে হামলার অভিযোগ তুলে অহির উদ্দিন মন্ডল, তার পাঁচ ছেলে, জামাই ও ভাগিনাকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করা হয়। তিনি মামলাটিকে ‘মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বলে দাবি করেন।
তিনি আরও জানান, তার জামাই মো. হামিদুর রহমান বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে কর্মরত। ঘটনার দিন তিনি রাজশাহীতে ভাড়া বাসায় ছিলেন এবং বিকেল ২টা ৫৭ মিনিটে নাটোর স্টেশন থেকে ট্রেনে কর্মস্থলে যান। তারপরও তাকে মামলার আসামি করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনের শেষে অহির উদ্দিন মন্ডল মিথ্যা মামলার নিন্দা জানিয়ে প্রশাসনের কাছে ন্যায়বিচার ও আইনগত সহায়তা প্রার্থনা করেন।
Good news
Good