০৮ জানুয়ারী, ২০২৪
ছবি: কক্সবাজার আদালতের ৪র্থ শ্রেণী কর্মচারী নগর বাঁশী দে
ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে সরকারি খাস জায়গা দখল ও মিথ্যা মামলায় হয়রানিসহ চার পরিবারকে ঘরছাড়া করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে কক্সবাজার চীফ জুড়িসিয়াল আদালতের চতুর্থ শ্রেণীর কর্মকর্তা নগর বাঁশি দে’র বিরুদ্ধে।
জানা যায়, গেল বছর জুন মাসে কক্সবাজার চীফ জুড়িসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারি নগর বাঁশি দে তার স্ত্রী লিপি দে এবং স্ত্রীর বড়বোন শিল্পী দে এর নামে চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা এলাকার অরবিন্দু দে’র কাছ থেকে ৩৬৮৬ নং দলিল মূলে ১০ শতক জমি ক্রয় করেন। পরে ২৫ ডিসেম্বর ডুল বনানী নামক এলাকায় ক্রয়কৃত জমির পার্শ্বে শম্ভুনাথ দে ও অন্য তিন পরিবারের দখলে থাকা সরকারি খাস জমি দখলে নিতে হামলা চালায় নগর বাঁশি ও তার ভাইরা ভাই উত্তম দে’র নেতৃত্বে ২০-৩০ জন সশস্ত্র দুর্বৃত্ত।
এ ঘটনায় জমির প্রকৃত দখলদার শম্ভু নাথ দে, পূর্ণ চন্দ্র দে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। বিষয়টি থানায় মিমাংসার কথা বলা হলেও নগর বাশি দে উল্টো উত্তম দে’কে বাদী বানিয়ে কক্সবাজার সিনিয়র জুড়িসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-১ ও দ্রুত বিচার আদালতে মামলা দায়ের করেন। মামলং নং ৭৬/২৩।
মামলায় আসামী করা হয়েছে ৭০ বছরের বৃদ্ধ শম্ভু নাথ দে, ৬০ বছরের পূর্ণ চন্দ্র দে মধুসহ চার পরিবারের নারী পুরুষসহ ৬জনকে। সম্পূর্ণ তথ্য গোপন করে মামলাটি দায়ের করা হয় বলে জানিয়েছেন ভূক্তভোগীরা।
তাদের অভিযোগ, আদালতে কাজ করার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন লোকজনের নামে মিথ্যা মামলা দায়ের করেন নগর বাঁশি। তার ভয়ে আতংকগ্রস্ত থাকেন ভূক্তভোগী ডুমখালীর নুর মোহাম্মদ, মেধাকচ্ছপিয়ার প্রনব, রুপন, সুমন এবং শংকরসহ অনেকে। অভিযোগে প্রকাশ মিথ্যা মামলায় শংকর এখনো জেল হাজতে রয়েছেন।
পূর্ণ চন্দ্র দে মধু বলেন, নগর বাশি তার স্ত্রী ও স্ত্রীর বড়বোনের নামে যে জমি ক্রয় করেছেন তা বিএস ৫৭৫৯ দাগের ১০ শতক জমি ক্রয় করেন। তাদের ক্রয়কৃত জমির সাথে আমাদের কোন সম্পর্ক নেই। আমাদের দখলীয় খাস খতিয়ানের ৫৭৭৯ দাগের জমি দখল করতে আসে তারা। আমরা বাঁধা দিলে আমাদের উপর হামলা করে। পরে ক্ষমতার অপব্যবহার করে আমাদের নামে মিথ্যা মামলা দায়ের করেছেন।
তাদের অভিযোগ, নগর বাঁশি শুধু মামলা করে ক্লান্ত হয়নি, আদালত থেকে কাগজও সংগ্রহ করতে দিচ্ছেনা। ফলে মামলার জামিন নিতেও ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে তাদের।
এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত নগর বাঁশি দে’কে ফোন করা হয়। সাংবাদিক পরিচয় পাওয়ার পর ফোন কেটে দেন। এরপরে আর ফোন ধরেন নি তিনি।
Good news
Good