১৫ অগাস্ট, ২০২৪
ছবি: মাধবপুর থানা
হবিগঞ্জে পরীক্ষার হলে অনিয়মের প্রতিবেদন করায় সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলার ঘটনা ঘটে। অবশ্য ইউএনওর আদেশে মামলা ও ওসির চাপে চার্জশিট দেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন মামলার তদন্ত কর্মকতা এসআই মিজান মোড়ল।
ঘটনাটি ঘটেছে হবিগঞ্জের মাধবপুর থানায়। তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মিজান মোড়ল বুধবার (১৪ আগস্ট) বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
ভুক্তভোগী সাংবাদিকের নাম মুজাহিদ মসি। তিনি দৈনিক কালবেলার মাধবপুর উপজেলা প্রতিনিধি।
এসআই মিজান মোড়ল জানান, থানার বর্তমান ওসি জাবেদ মাসুদ সাংবাদিক মুজাহিদ মসির বিরুদ্ধে আমাকে চার্জশিট দিতে বাধ্য করেছে। ইউএনও একেএম ফয়সাল মামলা দায়ের করিয়েছেন। তাই চার্জশিট দেওয়া ছাড়া আমার ভিন্ন কোনো উপায় ছিল না।
জানা গেছে, হবিগঞ্জের মাধবপুরে দাখিল পরীক্ষা কেন্দ্রে নকলের মহোৎসবের চাঞ্চল্যকর তথ্য ও প্রতিবেদন প্রকাশ করায় ঘটনার ৩ মাস পর দৈনিক কালবেলার সাংবাদিক মুজাহিদ মসির বিরুদ্ধে ‘পরীক্ষা কেন্দ্রে অনধিকার প্রবেশের’ মামলা দায়ের হয়। ওই পরীক্ষা কেন্দ্রের সভাপতি মাধবপুরের ইউএনও একেএম ফয়সাল যার নির্দেশে ১৩ মে ২০২৪ কেন্দ্রসচিব বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন। ঘটনাটি নিয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিবকেও তদন্তের নির্দেশনা দেওয়া হয়। মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড থেকেও তদন্ত চলমান রয়েছে।
এ ঘটনায় সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন মাধবপুরের ইউএনও একেএম ফয়সাল ও মাধবপুর থানা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। পরে মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পান এসআই মিজান মোড়ল।
যোগাযোগ করা হলে ওসি জাবেদ মাসুদ জানান, আমি নতুন যোগদান করেছি। প্রায় ৮৮টি মামলার জট রয়েছে এই থানায়। আমার সঙ্গে সাংবাদিক সাহেবের যেহেতু কোনো বিরোধ নেই। তাই তাকে চার্জশিটে নাম দিতে বাধ্য করার প্রশ্নই আসে না। এসআই মিজানের অভিযোগ মিথ্যা।
মাধবপুর থানার তদন্ত ওসি আতিকুর রহমান আতিক জানান, তদন্ত কর্মকর্তা পুরো স্বাধীন। তবে সাংবাদিক মসিকে চার্জশিটে আনার বিষয়টি আমি অবগত নই।
মাধবপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও আমাদের সময়ের প্রতিনিধি মোহাম্মদ অলিদ মিয়া জানান, বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক। যেখানে পুলিশ সাংবাদিক ভাই ভাই হয়ে কাজ করার কথা সেখানে মিথ্যা মামলা দিয়ে সাংবাদিকদের হয়রানি করা এক ধরনের গুরুতর অন্যায়।
Good news
Good