০৫ ডিসেম্বর, ২০২২
ছবি: নুরুন নাহার-মণি দাতব্য চিকিৎসালয় ও চক্ষু হাসপাতালের মূল ফটক।
ফেনী সদর উপজেলার ফাজিলপুরে গ্রামে জান বক্স ভূঁইয়া বাড়ীর সামনে নুরুন নাহার-মণি দাতব্য চিকিৎসালয় ও চক্ষু হাসপাতাল অসহায় ও দরিদ্র রোগীদের বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠার পর থেকে।
দেশের বেসরকারী চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান রাজধানীর শমরিতা হাসপাতালের ব্যবস্হাপনা পরিচালক ও উক্ত হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা
ডা. এবিএম হারুন তার নিজ গ্রাম ফাজিলপুরে সেবামূলক এ প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেন।
প্রতিষ্ঠানটিতে আধুনিক চিকিৎসা সুবিধাসহ অসহায় দরিদ্র রোগীদের বিনামূল্যে প্রতিনিয়তই চোখের অপারেশন করে থাকে।
২০১৫ সালের ৬ মার্চ ফাজিলপুর গ্রামে নুরুন নাহার-মণি দাতব্য ও চক্ষু হাসপাতালটি গড়ে উঠার পর থেকে এ পর্যন্ত ১২০০জন অসহায়-দরিদ্র রোগীর চোখের ছানি অপরেশন করে।
৫০ শয্যা বিশিষ্ট এ হাসপাতালে রয়েছে পুরুষ, মহিলা, শিশু ওয়ার্ড। হাসপাতালে বর্হিবিভাগে সাধারণ রোগীদের জন্য সকাল ৯টা-বেলা ১টা পর্যন্ত খোলা থাকে।
চক্ষু চিকিৎসার জন্য আগত রোগীদের বিশেষজ্ঞ চক্ষু সার্জন দ্বারা চোখের ছানি অপারেশনসহ সকল প্রকার চিকিৎসাসেবা বিনামূল্যে প্রদান করা হয়। প্রত্যেক মাসে এক থেকে দুইবার চোখের ছানি অপারেশন হয় উক্ত প্রতিষ্ঠানটিতে।
অপারেশন, ওষুধ, খাওয়া-দাওয়া, হাসপাতালে থাকাসহ সবকিছুই মিলছে বিনামূল্যে। এমনকি অসহায় রোগীদের আসা এবং চিকিৎসা শেষে বাড়ী ফেরার খরচও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বহন করে।
নুরুন নাহার-মণি দাতব্য ও চক্ষু হাসপাতালে রোগ নির্ণয়ের জন্য রয়েছে আধুনিক ল্যাবরেটরি। এই ছাড়া টিকাদান কেন্দ্র, শিশু বিভাগ, মাতৃমঙ্গল কেন্দ্র, ডেন্টাল চেকআপ, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, চক্ষু পরীক্ষার ব্যবস্হাসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদান করে থাকে। নুরুন নাহার-মণি দাতব্য ও চক্ষু হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা ডা. এবি এম হারুন অসহায় রোগীদের জন্য ফেনীর স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সহায়'কে দুইটি এ্যাম্বুলেন্স প্রদান করেন।
বর্তমানে হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা ডা. এবি এম হারুনের ভাই এবি মিলন মুকুল স্থানীয় তত্বাবধায়কের দায়িত্ব পালন করছেন এছাড়া নুরুন নাহার-মণি দাতব্য ও চক্ষু হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা ডা. এবি এম হারুন অসহায় এতিমদের জন্য হাসপাতালটির তৃতীয় তলায় আবুল বাশার চৌধুরী হেফজ ও এতিমখানা প্রতিষ্ঠা করেছেন। বর্তমানে আবুল বাশার চৌধুরী হেফজ ও এতিমখানায় ১৯ জন এতিম কোরআন শিক্ষায় শিক্ষিত হচ্ছেন। উক্ত এতিমখানায় এতিম শিক্ষার্থীদের জন্য থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করেছেন ডা. এবি এম হারুন।