২৯ নভেম্বর, ২০২২
ছবি: বাউফলের স্কুলের দৃশ্য
পটুয়াখালীর বাউফলের কেশবপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ ভরিপাশা মুন্সী হাচন আলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরিত্যক্ত লোহার বেঞ্চ ও চেয়ার চুরি করে বিক্রি করেন। যা স্থানীয় একটি পুকুর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। গত রবিবার (২৭ নভেম্বর) রাত ১০টার দিকে এঘটনা ঘটে । এমন অভিযোগ ওই বিদ্যালয়ের সভাপতির ছেলের বিরুদ্ধে।
স্থানীয় সূত্র থেকে জানা গেছে, দক্ষিণ ভরিপাশা মুন্সী হাচন আলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো. মঞ্জুরুল ইসলাম ওরফে তৈয়ব মাস্টারের ছেলে মো. নাহিদ (২০) বিদ্যালয়ের পরিত্যক্ত প্রায় ১টন লোহার বেঞ্চ ও টেবিল চুরি করে বিক্রি করেন। একই ইউনিয়নের ভূইয়ার বাজার ভাঙ্গারি দোকান শানু ফকির নামের এক ব্যক্তি ওই মাল ক্রয় করেন। বিক্রিত মাল নিয়ে একটি গাড়ি ভর্তি করে সভাপতির ছেলে নাহিদ মমিনপুর গ্রামের গোলাম হোসেন পুল এলাকায় পৌঁছলে স্থানীয়রা আটক করতে চাইলে গাড়ির সব মালামাল পুকুরে ফেলে দেন। এসময় স্থানীয়রা ওই টমটম চালককে আটক করে। পরে ওই মালামাল উদ্ধার করে ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে জমা রাখা হয়।
এ বিষয়ে টমটম চালক মো. কবির সিকদার বলেন,‘স্কুলের চেয়ার ও বেঞ্চ ভূঁইয়ার বাজারের ভাঙ্গারি দোকানদার শানু কিনে রাখে। পরে আমাকে মালগুলো অন্য জায়গায় সরাতে বলেন। আমি প্রথমে রাজি না হলে শানু বলেন, ‘তোর ভয় নাই, যারা মাল বিক্রি করছে তাঁরা তোর সাথে থাকবে।
ভাঙ্গারি দোকানদার শানু ফকির জানান, তৈয়ব মাস্টারের ছেলে আমার কাছে মাল বিক্রি করে। পরে ঝামেলা বুঝে আমি টাকা ফিরিয়ে নেই।
অভিযুক্ত বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, এটা তুচ্ছ একটা বিষয়। আমার ছেলে ভুলবশতঃ এমন কাজ করে ফেলেছে। স্কুলের মাল ফেরৎ দেওয়া হয়েছে। তবে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহবুবুর রহমান বলেন চুরি যাওয়া মাল এখনো ফেরৎ পাইনি। এ বিষয়ে কেশবপুর ইউপি চেয়ারম্যান সালেহ উদ্দিন পিকু বলেন, লোক পাঠিয়ে ওই টমটম জব্দ করা হয়েছে। এ বিষয়ে উপজেলা ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা কর্মকর্তা দেবাশীষ ঘোষ বলেন, আমি ছুটিতে রয়েছি। কর্মস্থলে ফিরে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Good news
Good