১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২২
ছবি:
বাগেরহাট সদর উপজেলার বারুইপাড়া ইউনিয়নের অযোধ্যা গ্রামে সপ্তদশ শতাব্দীর এক অন্যতম প্রাচীন নিদর্শন কোদলা মঠ (Kodla Math) অবস্থিত। স্থানীয় অনেকের কাছে মঠটি অযোধ্যার মঠ হিসেবেও পরিচিত। বাগেরহাটের বিশ্ব ঐতিহ্য ষাট গম্বুজ মসজিদ থেকে এই মঠের দূরত্ব প্রায় ১০ কিলোমিটার। কোদলা মঠ থেকে প্রাপ্ত খণ্ডলিপি অনুসারে, তারক ব্রহ্মের অনুগ্রহ লাভের আশায় জনৈক ব্রাহ্মণ এই মঠটি নির্মাণ করেছিলেন। অন্য সূত্র মতে, যশোরের বারো ভুঁইয়াদের অন্যতম রাজা প্রতাপাদিত্যের উদ্যোগে তাঁর গুরু অবিলম্বা সরস্বতীর স্মৃতিস্তম্ভ হিসেবে কোদলা মঠটি নির্মাণ করা হয়। মূলত বাগেরহাটের রাজা প্রতাপাদিত্যের স্মৃতি এবং বাংলার সমৃদ্ধ হিন্দু ঐতিহ্য ও স্থাপত্যশিল্পের এক উজ্জ্বল নিদর্শন।
কোদলা মঠের স্থাপত্য সম্পূর্ণ ভিন্ন ও স্বতন্দ্র। নান্দ্যনিক কারুকার্যমণ্ডিত এই মঠে উড়িষ্যা অঞ্চলে খ্রীস্ট্রীয় ষোড়শ শতাব্দীর দিকে “রেখা” নমুনার পদ্ধতিতে নির্মিত মন্দিরগুলোর প্রভাব রয়েছে। চারকোণা ভিতের উপর শিখর বা রেখা ধাঁচে নির্মিত পিরামিডাকৃতির স্থাপত্য ভারতীয় অঞ্চলে নাগারা স্টাইল হিসেবে পরিচিত। চিকন ইটের প্রাচীরের এই মঠের ভূমি থেকে উচ্চতা ১৮.২৯ মিটার, ও ভেতরের প্রত্যেকটি বর্গাকার দেয়ালের দৈর্ঘ্য ২.৬১ মিটার। মঠের উত্তরের দিকের দেয়াল ব্যতীত অন্য তিনদিকে তিনটি প্রবেশ দ্বার রয়েছে। তবে দক্ষিণ দিকের প্রধান প্রবেশ দ্বারে রয়েছে পোড়া মাটির আকর্ষণীয় নকশা লক্ষ করা যায়। আর মঠের বাইরের দিকে পাঁচ কুলুঙ্গি বিশিষ্ট বহুভূজাকৃতি দেয়াল এবং পোড়ামাটির নয়ানভিরাম কারুকার্যময় অলংকরণ কোদলা মঠের সবচেয়ে আকর্ষণীয় দিক। বর্তমানে প্রাচীন এই মঠটি বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের অধীনে রয়েছে।
Good news
Good