০৪ মার্চ, ২০২৫
ছবি: সংগৃহীত
ছাত্র-জনতার ওপর হামলার অভিযোগে হবিগঞ্জের এক কেন্দ্রীয় বিএনপির নেতা ও ইউপি চেয়ারম্যানকে যুবলীগ নেতা বানিয়ে হত্যা মামলার আসামী করার ঘটনা ঘটেছে।
এ নিয়ে এলাকায় আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বইছে।এ ঘটনায় বিএনপির নেতারা প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
ওই বিএনপি নেতা নাম মিনহাজ উদ্দিন চৌধুরী কাসেদ।তিনি হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলা বিএনপির সদস্য।
এছাড়া তিনি কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য ও হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহবায়ক।বর্তমানে তিনি মাধবপুর উপজেলার ছাতিয়াইন ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান।তিনি এলাকায় কবি ও লেখক হিসেবেও সুপরিচিত।
জানা যায়,ঢাকার মিরপুরে বিগত ৪ অগাষ্টে সংগঠিত বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নাশকতা,হত্যা,হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় স্থানীয় আব্দুল আলিমের পুত্র ইব্রাহিম নামে এক যুবক বাদী হয়ে বিগত ১৬ ফ্রেব্রুয়ারী রাজধানীর কাফরুল থানায় মামলা দায়ের করেন।যা আদালতের নির্দেশে এফআইআর হয়।ওই মামলায় বিএনপি নেতা মিনহাজ উদ্দিন চৌধুরী কাসেদকে ৪৪ নাম্বার আসামি করা হয়।
মামলায় বিএনপির নেতা মিনাজ উদ্দিনের পরিচয় হিসেবে যুবলীগ নেতা উল্লেখ করা হয়েছে। ওই মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, ঢাকা-১৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য কামাল আহমেদ মজুমদার ও সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনসহ মোট ৬৮ জন আসামী রয়েছেন।
বিএনপি নেতা মিনহজ উদ্দিন চৌধুরী কাসেদ জানান,মামলা ব্যবসায়ী চক্র চক্রান্ত করে আমাকে হয়রানির উদ্দেশ্যে আসামি করেছে।বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে আমি প্রত্যক্ষভাবে মাঠে কাজ করেছি। শুধু আমিই নই আরো আমার এলাকার বেশ কয়েকজন সাংবাদিককেও ওই মামলায় আসামী রয়েছে।রাজনৈতিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করার উদ্দেশ্যেই আমাকে এ মামলায় জড়ানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে বিএনপি নেতা ও হবিগঞ্জ আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর(এপিপি)সাজিদুর রহমান সজল বলেন,মিনহাজ উদ্দিন কাসেদ বিএনপির একজন ত্যাগী প্রভাবশালী নেতা হওয়া সত্ত্বেও যারা হয়রানির উদ্দেশ্যে এই মামলা দায়ের করেছে তাদেরও আইনের আওতায় আনা উচিত।আমি আশা করি আমাদের দলও এ ব্যাপারে ভূমিকা পালন করবে।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে কাফরুল থানা ওসি তৈইবুর রহমান জানান,মামলাটি তদন্তাধীন রয়েছে।এতে দ্রুত অভিযোগপত্র দেয়ার জন্য আমরা কাজ করছি।নিরপরাধ কাউকেই হয়রানি করা হবে না বলেও আশ্বস্ত করেন তিনি।
Good news
Good