১৩ অক্টোবর, ২০২৫
মোঃ মনির হোসেন বকাউল, 
ছবি: ইউএনও ও প্রশাসক জাহিদ বিন কাশেম!
হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলা প্রশাসনের নেতৃত্বে গত কয়েক মাসে চোখে পড়ার মতো ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছে।
সরকারি প্রকল্পের মান নিয়ন্ত্রণ, জনসেবায় দ্রুত সাড়া, শিক্ষা ও পরিবেশে নতুন উদ্যোগ—সব ক্ষেত্রেই আলোচনায় রয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহিদ বিন কাশেম।
দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই তিনি মাঠে নেমে জনগণের সমস্যা সরাসরি শুনে তার সমাধান করছেন, যা স্থানীয়দের কাছে প্রশাসনের প্রতি নতুন আস্থা তৈরি করেছে।
ইউএনও জাহিদ বিন কাশেমের তত্ত্বাবধানে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে এলজিইডি ও দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের রাস্তা, কালভার্ট ও সরকারি অবকাঠামো নির্মাণের কাজে স্বচ্ছতা নিশ্চিত হয়েছে।
তিনি হঠাৎ পরিদর্শনে গিয়ে বিভিন্ন প্রকল্পের অগ্রগতি যাচাই করেন এবং কাজের মানে কোনো গাফিলতি পেলে সংশ্লিষ্টদের সতর্ক করেন।
উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে অনিয়ম রোধ ও জনগণের করের টাকায় সঠিকভাবে কাজ সম্পন্নের বিষয়ে তিনি কঠোর অবস্থান নিয়েছেন।
কৃষি ও পরিবেশ খাতে ইউএনও জাহিদ বিন কাশেমের অবদান বিশেষভাবে প্রশংসিত। “এক ইঞ্চি জমিও অনাবাদি থাকবে না” স্লোগানকে সামনে রেখে তিনি কৃষি কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়ে উপজেলার কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করছেন আধুনিক কৃষি চাষে ও জৈব সার ব্যবহারে। বিভিন্ন সময় তিনি নিজ হাতে কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণ করেন ।
হবিগঞ্জ জেলার জেলা প্রশাসক মহোদয়ের নির্দেশনায় উপজেলার সরকারি অফিস, স্কুল এবং রাস্তার পাশে কয়েক হাজার গাছ লাগানোর উদ্যোগ নিয়েছেন, যা ইতোমধ্যেই বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে।
জনসেবায় মানবিকতার উদাহরণ হিসেবেও ইউএনও জাহিদ বিন কাশেম প্রশংসা কুড়িয়েছেন। সম্প্রতি আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত পাঁচটি পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে দ্রুত সরকারি সহায়তার ব্যবস্থা করেন। প্রতিবন্ধী ও অসহায় মানুষের জন্য তার দরজা সবসময় খোলা।
স্থানীয়দের অভিযোগ, আগে প্রশাসনের দ্বারে যেতে ভয় লাগত; এখন ইউএনও নিজেই মানুষের দোরগোড়ায় যাচ্ছেন সমস্যা শুনতে।
শিক্ষা খাতেও নতুন উদ্যোগ নিয়েছেন জাহিদ বিন কাশেম। উপজেলার বিভিন্ন বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের নৈতিকতা, সততা ও দায়িত্ববোধ গড়ে তুলতে অভিভাবক ও শিক্ষার্থী সমাবেশ করা হচ্ছে। এছাড়াও তিনি জানান যে মাধবপুরে অবস্থিত বিভিন্ন ইন্ডাস্ট্রিতে যেন শিক্ষার্থীরা ইন্ডাস্ট্রিয়াল ভিজিট করতে পারে তার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্টদের সাথে এ ব্যাপারে আলাপ আলোচনা হচ্ছে।
এছাড়া দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ থাকা উপজেলা পরিষদ লাইব্রেরি পুনরায় চালুকরণসহ জেলা পরিষদের সহায়তায় অবকাঠামোগত সংস্কার ও নতুন বই কেনার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তিনি জানান, সকলের সহযোগীতায় এবার অন্যান্য বছরের তুলনায় নকলমুক্ত পরিবেশে পাবলিক পরীক্ষা গ্রহণ করা সম্ভব হয়েছে। এসকল উদ্যোগ অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে উৎসাহ সৃষ্টি হয়েছে।
ইউএনও জাহিদ বিন কাশেম বলেন, “সরকারি দায়িত্ব মানে কেবল কাগজে-কলমে কাজ নয়, মানুষের জীবনে পরিবর্তন আনাই আসল লক্ষ্য। জনগণের সমস্যার সমাধান করতে পারলেই আমার দায়িত্ব পূর্ণ হয়।”
উন্নয়ন তদারকি, জনবান্ধব প্রশাসন, কৃষি ও পরিবেশে নবউদ্যোগ এবং মানবিক কার্যক্রমে সক্রিয় ভূমিকার জন্য ইউএনও জাহিদ বিন কাশেম আজ মাধবপুরবাসীর কাছে একজন দক্ষ, সৎ ও মানবিক প্রশাসক হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন।
স্থানীয়রা বলছেন, তার মতো একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তার উপস্থিতিতে মাধবপুরের প্রশাসনিক কার্যক্রমে এখন প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে।
Good news
Good
