১৪ অক্টোবর, ২০২৫
ছবি: অভিযুক্ত মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম।
হবিগঞ্জের মাধবপুরে ভারপ্রাপ্ত মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে আবারও নতুন বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। সম্প্রতি উপজেলার জামে মসজিদের মালিকানাধীন পাঁচটি নারকেল গাছের অর্ধশত নারকেল নেওয়ার অভিযোগের পর এবার উপজেলা প্রশাসনের মালিকানাধীন কলা গাছ থেকে কলার ছড়ি পাড়ার অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুই কর্মকর্তা জানান, উপজেলা প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই ওই কর্মকর্তা অন্তত দুটি কলার ছড়ি কেটে নেন। তারা আরও অভিযোগ করেন, শিক্ষা কর্মকর্তা প্রায়ই কখনো নারকেল, কখনো কলা কিংবা অন্য ফলমূল পাড়েন, যা সরকারি সম্পত্তি ব্যবহারের নীতিবিরোধী কাজ।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) বাসভবনের পাশের একটি গাছ থেকে সপ্তাহ খানেক আগে দিনের বেলাতেই তিনি কলার ছড়ি সংগ্রহ করেন। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, কলাগুলো তিনি নিজেই নিয়ে যান।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, তার স্ত্রী বিচার বিভাগে কর্মরত পরিচয় ব্যবহার করে “বরিশাইল্লা প্রভাব” দেখিয়ে বিভিন্ন নীতিবহির্ভূত কাজ করে থাকেন, যা প্রশাসনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করছে।
এর আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছিল। এছাড়াও তিনি স্থানীয় মসজিদের ইমাম ও মুয়াজ্জিনদের ‘ভিক্ষুক’ বলে কটূক্তি করায় কয়েকজন সুন্নি নেতা তাকে বয়কট ঘোষণা করেন। তাছাড়া বিগত বছরের এসএসসি পরীক্ষাকেন্দ্রের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
উপজেলার বিআরডিবি কর্মকর্তা ও অফিসার্স ক্লাবের অর্থ সম্পাদক মো. আবুল ফয়সাল চৌধুরী বলেন,
“উপজেলা প্রশাসনের যেকোনো সম্পত্তি ব্যবহারে ইউএনওর অনুমতি বাধ্যতামূলক। শিক্ষা কর্মকর্তার এমন আচরণ প্রশাসনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করছে।”
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম বলেন,
“কলা অফিসাররা খাবে না তো সাংবাদিকরা খাবে? সামান্য কলা — এগুলো কি নিলামে দেওয়া সম্ভব? সাংবাদিকরা এসব ফালতু বিষয় নিয়ে ব্যস্ত।”উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জাহিদ বিন কাসেম বলেন, “বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
Good news
Good