২০ নভেম্বর, ২০২২
ছবি: উলিপুরে নদী ভাঙ্গনের দৃশ্য
ব্রহ্মপুত্র নদীর ভয়াবহ ভাঙ্গনে পুরাতন বসতভিটা, আবাদি জমি,গাছপালা, ও পারিবারিক কবরস্থান বিলীন হচ্ছে । নিমিষেই কেড়ে নিচ্ছে একের পর এক বসতভিটা হুমকির মুখে পড়েছে মোল্লাহাট কড্ডার মোড়, বাজার সহ প্রায় ৪ শতাধিক পরিবার। এলাকা ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিতে ছুটছে ভুক্তভোগী পরিবারের লোকজন।
আজ রবিবার ২০ নভেম্বর দুপুরে কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুর উপজেলার বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের মোল্লারহাট সংলগ্ন রসুলপুর ও ভূগোলের কুটি গ্রামে ব্রহ্মপুত্রের তীরে ভাঙ্গনের ভয়াবহ দৃশ্য দেখা গেছে।গত২৪ ঘন্টার ব্যবধানে ব্রহ্মপুত্রের ভয়াবহ ভাঙ্গনের তান্ডবে প্রায়৫০টি পরিবারের বসতভিটা, গাছপালা, আবাদি জমি পারিবারিক কবরস্থান গিলে ফেলেছে ব্রহ্মপুত্র। ভাঙ্গনের চাকায় পড়ে ঘরবাড়ি ও গাছপালা নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে দিশেহারা ভুক্ত ভুগিরা।
ভাঙ্গনের মুখে পড়েছে প্রায় ৪ শতাধিক পরিবারের বসত বাড়ি ও মোল্লার হাট কড্ডার মোড় বাজার। ভাঙ্গনের শিকার এরশাদুল, আব্দুল খালেক, পাষাণ, সোনাউল্লা, রুবেল, আবু সামা, আব্দুস সাত্তার, হারুন ফকির, দুলাল ফকির, আব্দুল বারেক ফকির, আবু সাঈদ, হাফেজ, নুরআলম সহ ভুক্ত ভোগিরা জানান,
রাত থেকে প্রচন্ড ভাঙ্গন দেখা দেওয়ায় দ্রুত ঘরবাড়ি সরিয়ে নেওয়া হলেও বসতভিটা ব্রহ্মপুত্র নদি গিলে ফেলেছে। ইতিমধ্যে দফায় দফায় ভাঙ্গনে ভিটে মাটি হারিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। পুনর্বাসন করা হয়নি এবং ভাঙ্গন ঠেকানোর কোন উদ্যোগ নেই। নদী ভাঙ্গনে বিলীন হওয়াই যেন নিয়তি। পূর্নবাসনের আশা নেই বললেই চলে।ভাঙ্গনের সম্মুখীন হারুন, দুলাল, ছাত্তার জানান আমরা সবকিছু হারিয়ে
নিঃস্ব হয়ে গেছি কোথায় গিয়ে আশ্রয় নিব।এ ব্যাপারে উলিপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শোভন রাংসার সাথে মুঠোফোন জানতে চাইলে তিনি জানান বিষয়টি নিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাথে কথা হয়েছে। মোল্লাহাট বাজার রক্ষায় ভাঙ্গন রোধে কাজ চলমান রয়েছে। কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল আল মামুন এর সাথে মুঠোফোনে ভাঙ্গন রোধের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান শুধু মোল্লাহাট বাজার রক্ষায় ভাঙ্গন রোধের ব্যবস্থা করা হয়েছে পার্শ্ববর্তী এলাকার ভাঙ্গন রোধে প্রয়োজনের তুলনায় বরাদ্দ চেয়ে মন্ত্রণালয় পরিপত্র পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ পেলে ভাঙ্গন রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা সম্ভব।
Good news
Good