১৬ নভেম্বর, ২০২২
ছবি: বিবাদমান জমি।
উলিপুরে বুড়াবুড়িতে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের জমি নিয়ে মামলায় বিজ্ঞ আদালতের অস্থায়ী নিষেজ্ঞা জারী করেছেন প্রতিপক্ষ নিষেধাজ্ঞাভঙ্গ ও জবর দখলের চেষ্ঠায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগীরা ।
সরেজমিন ও অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুর উপজেলার বুড়াবুড়ি ইউনিয়নের ফকির মোহাম্মদ ছাট পানাতি পাড়া গ্রামে ২০ শতাংশ জমি নিয়ে নানা জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। ঐ গ্রামে মরহুম বীর মুক্তিযোদ্ধা আপতাব হোসের পুত্র আব্দুর রউফ মির্জা ও সাহেব আলীর দখলকৃত জমিতে বুড়াবুড়ি ইউনিয়ন সাবেক ভূমি সহকারী কর্মকর্তা সাইফুল ইসলামের আত্মীয়তা সম্পর্ক থাকায় গোপনে একই গ্রামের নুর ইসলাম ও তার স্ত্রীকে ১নং জোতের ২০ (বিশ) শতাংশ জমি বন্দোবস্ত প্রস্তাব করেন। যাহার মামলা নং ২৯/১৫-১৬ইং, তারিখ- ২২/০৫/২০১৬ইং। জেলা প্রশাসকের স্মারক নং- ৩৫/১৬-১৭ইং, তারিখ- ১১/০৮/২০১৬ইং। মৌজা ফকির মোহাম্মদ, সি,এস খতিয়ান নং- ১৩৭, এস,এ খতিয়ান নং ০১, ডিপি খতিয়ান নং- ১২৩৪ ভূক্ত সি,এস দাগ নং- ৩০৪০, এস,এ দাগ নং- ৩০৭৬, হাল দাগ নং- ৬৩৫৭ দাগে জমি ২০ (বিশ) শতাংশ জমি বন্দবস্ত দেওয়া হয়। কুড়িগ্রাম রেকর্ডরুমে অনুসন্ধান আবেদনে উল্লেখিত এস,এ দাগ নং ৩৩৭৪ দাগে জমি মাত্র ১০ (দশ) শতাংশ কিন্তু ভূমি বন্দোবস্ত দেওয়া হয় ২০ শতাংশ। উক্ত জমি মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের দখল ভোগ থাকায় কুড়িগ্রাম আদালতে১৪৪ ধারা মোতাবেক পিটিশন কেস নং ৮৬/২০ মামলা দায়ের করলে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ৩৩৩ নং স্মারক তারিখে ১৫-৩-২১ ইং সরে জমিন তদন্ত-পূর্বক রিপোর্ট প্রদানের জন্য উলিপুর উপজেলা ভূমি অফিসকে নির্দেশ দেন । উক্ত পত্র মোতাবেক বর্তমান বুড়াবুড়ি ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা কার্তিক চন্দ্র সরকার তদন্ত করে রিপোর্ট প্রদান করেন যার স্মারক নং১৮ তারিখ ৯/৩/২১ এবং দাবীকৃত জমি ৭ শতাংশ দখলে দেখান। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে নানা দন্দের সৃষ্টি হলে। মুক্তিযোদ্ধার পরিবার সু-বিচারের জন্য উলিপুর সহকারী জজ আদালতের মোকদ্দমা নং ৩৪/২০২০ইং অন্য মামলা দায়ের করেন। বিচারক উভয় পক্ষকে উল্লেখিত জমিতে না নামার জন্য অস্থায়ী নিষেজ্ঞাজারী করেন। কিন্তু ভূমি বন্দোবস্তের মালিক নুর ইসলামের বিভিন্ন আবদারে বর্তমান বুড়াবুড়ি ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা, কার্তিক চন্দ্র সরকার মুক্তিযোদ্ধার পরিবারকে জমির মাপ-কাঠি করার জন্য মৌখিকভাবে জানালে ভূক্তভোগীরা উলিপুর উপজেলা ভূমি সহকারী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন। এ ব্যাপারে অফিস সূত্রে জানা গেছে লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে ডকেট নং- ১২৪১, তারিখ- ০৬/১১/২০২২ইং, উপজেলা ভূমি সহকারি কর্মকর্তা সার্ভেয়ারের নিকট ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আদেশ দেন। স্বাক্ষাতে গতকাল মঙ্গলবার ১৫ নভেম্বর ২০২২ইং উপজেলা ভূমি অফিস কার্যালয়ের সার্ভেয়ার রবিউল ইসলাম জানান অস্থায়ী নিষেজ্ঞার বিষয়টি লিখিত অভিযোগের মাধ্যমে অবগত হওয়ার পর উল্লেখিত জমিতে যাবতীয় কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে। স্বরেজমিন সাক্ষাতে ভূমি বন্দোবস্তর মালিক নুর ইসলাম ও তার স্ত্রী সাহিদা বেগম জানান বাংলাদেশ সরকার আমাদের কে বন্দোবস্ত দিয়েছে সরকার পক্ষ থেকে আমাকে মাপ-যোগ করে বুঝিয়ে দিবেন এবং আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে ইউনিয়ন ভুমি সহকারি কর্মকর্তা কার্তিক চন্দ্র সরকার জমির মাপকাঠি করে দেবেন বলে জানান তাছাড়ও মুক্তিযোদ্ধার পরিবারের পক্ষ থেকে জানান বুড়াবুড়ি ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে বিষয়টি মিমাংসা চেয়ে বিচার প্রার্থনা করলে নুর ইসলাম ও তার স্ত্রী বিচার না মানিয়ে জমিতে জবর দখল করার জন্য প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করেন।
Good news
Good