৩০ এপ্রিল ২০২৫
হোম স্বাস্থ্য সারাদেশ জাতীয় রাজনীতি অর্থনীতি ও বাণিজ্য খেলাধুলা বিনোদন আন্তর্জাতিক ধর্ম ও জীবন লাইফ স্টাইল শিক্ষা প্রযুক্তি ও বিজ্ঞান পরিবেশ চাকরি বা ক্যারিয়ার মতামত আইন-আদালত কৃষি ও প্রযুক্তি বিশেষ সংবাদ অপরাধ সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিশ্বকাপ ফুটবল
স্বাস্থ্য / কৃষি ও প্রযুক্তি

টাঙ্গাইলে ক্যান্সার প্রতিরোধী ননী ফল চাষে সফলতা

২৭ Jul, ২০২৪

মোঃ রুবেল আহমেদ,
স্টাফ রিপোর্টার

ছবি: ননী ফল বাগানে মো. বাবুল মিয়া

বছর চারেক আগে,গুরুতর অসুস্থ স্ত্রীর চিকিৎসার প্রয়োজনে যশোর থেকে ৪০০০টাকা কেজি দরে। ক্যান্সার প্রতিরোধী ঔষধিগুণ সম্পন্ন ননী ফল কিনে আনতেন। ঢাকার মিরপুরের বাসিন্দা মো. বাবুল মিয়া(৭২)। 
এক পর্যায়ে পাকা ননী ফলের বীজ থেকে, চারা উৎপাদন করে ছাদ বাগান গড়েন। চারা উৎপাদন বাড়তে থাকলে। টাঙ্গাইলের মধুপুরের গোলাবাড়ী ইউনিয়নের গোপদ সংলগ্ন পূর্ব সিঙ্গুড়া গ্রামে। ১২কাঠা জমিতে ননী ফল গাছের বাগান গড়ে তুলেন।
বাগান ঘুরে দেখা যায়, ৩শতাধিক গাছের উচ্চতা ৮থেকে ১৪ফুট হয়েছে। ফল ধরছে প্রতিটি গাছে। এছাড়াও তিনি বাগানে করোসল, ডায়াবেটিকসের জন্য উপকারী ঔষধি গুণ সম্পন্ন গাছ রোপণ করেছেন। মুঠোফোনে অর্ডার পেয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে। কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে ননী ফল ও গাছের চারা বিক্রি করেন। এতে তার মাসিক আয় হচ্ছে ৩০-৫০হাজার টাকা। বাগান পরিচর্যায় একাধিক শ্রমিক নিয়মিত কাজ করেন। ঔষধি গুণসম্পন্ন হওয়ায় সারাদেশে ননী ফলের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। হারবাল ঔষধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানসহ, সারাদেশেই সাধারণ ক্রেতা রয়েছে বলে জানান।
মো. বাবুল মিয়া বলেন, যশোর থেকে ঔষধি গুণাগুণ সম্পন্ন ননী ফল কিনে এনে, স্বামী-স্ত্রী উভয়েই জুস করে খেতাম। এতে উভয়েই বিভিন্ন রোগ থেকে মুক্তি পাই। উচ্চ মূল্যে কিনতে হতো বিধায়, বাগান করার উদ্দেশ্যে বীজ থেকে চারা রোপণ করি। এরপর গ্রামে শ্বশুর থেকে ওয়ারিশ সূত্রে পাওয়া ১২কাঠা জমিতে ননী ফলের বাগান করেছি। এখন স্বল্পমূল্যে বিক্রি করতে পারছি। এর ৮টি জাত রয়েছে,সেরা জাতটি তিনি রোপণ করেছেন। এইগাছের চারা সারাদেশে ছড়িয়ে দিতে চান। 
এই গাছ মূলত আফ্রিকান। এদেশে এগুলো চাষে ব্যাপক পরিচর্যার দরকার হয়। গোরব, পানি, সরিষার খৈল, হাড়ের গুঁড়া, ডিমের খোসার পাউডার, কোকোপিট, সিনকুচি সহ বিভিন্ন ধরনের জৈব সার নিয়মিত প্রয়োগ না করলে আশানুরূপ ফলন হয় না। গাছ রোপণের ৭মাসের মধ্যেই ফল আসে, সারাবছর ফলন পাওয়া যায়।
সিঙ্গুড়া গ্রামের মো. আনোয়ার হোসেন জানান, বাগান পরিচর্যায় আমিও মাঝে মাঝে কাজ করে থাকি। অনেক দূর থেকে প্রতিদিন লোকজন আসে এই বাগান দেখতে। এবং তারা ননী ফল কিনেও নিয়ে যায়। অনেক চাহিদা রয়েছে এটার ।

উল্লেখ্য, গবেষণায় উঠে এসেছে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতায় অবিশ্বাস্যভাবে কাজ করে ননী ফল। ভিটামিন সি, ই, বি, বি-২, বি-৬, বি-১২, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ফলিক এসিড, ফসফরাস, ম্যাগনেসিয়াম, জিংক, কপার, মিনারেলসহ ১৫০টির বেশি ঔষধি গুণাগুণ রয়েছে ননী রয়েছে। এর দ্বারা উচ্চ রক্তচাপ কমে, ডায়াবেটিকস নিয়ন্ত্রণে আসে। এতে ক্যান্সার ও টিউমার ফাইটিং উপাদান রয়েছে। বেষ্ট ক্যান্সারে এর ফলাফল অবিশ্বাস্য।
 

Related Article