২৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩
ছবি: পিঠা উৎসব পালনের চিত্র।
বসন্তের শুরু থেকে টাঙ্গাইলে নাতিশীতোষ্ণ আবহাওয়া। ফাল্গুনের প্রায় মাঝামাঝি সময়ে শনিবার বিকেলে টাঙ্গাইল শহরের পাতুলিপাড়া দশমিক ফাউন্ডেশনের পাঠশালা প্রাঙ্গন সাজানো হয়েছিলো একটু ভিন্ন আঙ্গিকে। উৎসবমুখর পরিবেশে ঐতিহ্যবাহী পিঠা উৎসবের আয়োজন করা হয়। ছোট ছোট শিশুদের দেশীয় ঐতিহ্য এই পিঠাকে পরিচিত করতে এমন ভিন্নধর্মী আয়োজন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী মূলক সংগঠন দশমিক ফাউন্ডেশনের নেতৃবৃন্দরা।
দশমিক ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মিনারুল ইসলাম জানান, অসহায় দরিদ্র, ছিন্নমুল পথশিশুদের কাছে শীত মানেই বিভীষিকা, রাত মানেই দুঃস্বপ্ন। আর মায়ের হাতের পিঠাপুলি খাওয়াতো শুধু স্বপ্নের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। তাই পথশিশুদের এই দুঃস্বপ্ন দূর করতে এই আয়োজন করা হয়।
বিকেলে পাঠশালা প্রাঙ্গনে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে শিশুদের বড় জটলা। চিতই, ভাপাসহ নানা ধরনের ও বাহারি নামের সব পিঠা টেবিলে থরে থরে সাজানো। শতাধিক শিশু-কিশোরকে প্লেটে ভাপা, চিতইসহ নানা রকম পিঠা খেতে দেখা যায়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন গাজীপুরের ভাওয়াল বদরেআলম সরকারি কলেজের সহযোগী অধ্যাপক ফারহানা ইয়াসমিন, দশমিক ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মিনারুল ইসলাম, সহ -সাধারণ সম্পাদক ত্রিজান চোহান, কোষাধ্যক্ষ নিলয় সাহা, চিকিৎসা ও ক্রীড়া সম্পাদক মিম আক্তার, আফরোজা আনিফা, মাহ্ফুজা মাশিয়া হাছিন প্রমুখ।
দশমিক ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মিনারুল ইসলাম বলেন, এই ছিন্নমূল শিশুরাই আমাদের বিশেষ অতিথি। সুবিধা বঞ্চিত, ছিন্নমূল শিশুরা এসব কিছু মুখোরোচক পিঠা থেকে হয়তো বঞ্চিত থাকে। তাদের সাথে যেমন দশমিক পাঠশালাতে সময় দেয়া হয়। ঠিক তেমনি শিশুদের পাঁচটি মৌলিক অধিকার থেকে খাদ্য এই অধিকারও তাদের প্রাপ্য। তাই আমরা ভিন্ন স্বাদে শীতের বিভিন্ন মুখোরোচক পিঠার আয়োজন করেছি তাদের জন্যে।