০২ মে, ২০২৩
ছবি: পরিদর্শন করেন ইউএনও
শুরুতেই ইজিপিপি প্রকল্পে নয় ছয়
ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলাতে আতি দরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসুচী (ইজিপিপি) এর আওতাই ’২০২৩ দ্বিতীয় ফেজের ২৯ এপ্রিল’২০২৩ তারিখ থেকে ৪০ দিনের কর্মসুচি শুরু হয়েছে ।
শুরুতেই উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে এই প্রকাল্পে নয়ছয় করার অভিযোগ উঠেছে। তিনি এই প্রকল্প শুরুর আগাম কোন চিঠি চেয়ারম্যানদেকে না দিয়ে প্রকল্পের কাজ তড়িঘড়ি করে শুরু করে দেন। যার ফলে শুরুর প্রথম দিন দৌলতপুর ও তাহেরহুদা ইউনিয়নের চেয়ারম্যানরা না জানার কারনে প্রকল্পের কাজ শুরু করতে পারে নাই।
অবস্থা বেগতিক দেখে পিআইও শুরুর দ্বিতীয় দিন মাঠে নামেন এবং সাংবাদিকদের বলেন প্রকল্পের কাজ সুন্দর মত চলছে। ফলোকশ্রুতিতে সাংবাদিকরা মাঠে নামেন।
সাংবাদিকরা দৌলতপুর ইউনিয়নের বকুল ডাক্তারের বাড়ি সংলগ্ন রাস্তা পরিদর্শনে গিয়ে দেখে ৭৯ শ্রমিকের অনুকুলে ২২ জন কাজ করছে। দলোনেতাকে প্রশ্ন করা হয়েছিলো বাকি শ্রমিকরা কোথায়। উত্তরে তিনি বলেন এটা চেয়াম্যান সাহেব জানেন।
একই প্রশ্ন দৌলতপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যানকে করা হলে তিনি বলেন আগে থেকে তাকে কোন নির্দেশনা দেওয়া হয় নাই যার কারনে শ্রমিকরা আসে নাই।
এ বিষয়ে পিআই কে প্রশ্ন করা হয়েছিলো আপনি আগাম না জানিয়ে কর্মসুচি শুরু করলেন কেন? এ বিষয়ে তিনি বলেন প্রত্যেক চেয়ারম্যানকে নির্দেশনা দিয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে তবে তিনি নির্দেশনার কোন চিঠি দেখাতে পারেন নাই।
তাকে আরও প্রশ্ন করা হয়েছিলো কাজের সাইডে হাজিরা খাতা থাকার কথা কিন্তু দৌলতপুর ইউনিয়নে কোন হাজিরা খাতা পাওয়া যায় নাই কেনো? উত্তরে তিনি বলেন যেহেতু খাতা পাওয়া যায় নাই তাহলে দৌলতপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যানকে আপনারা বেধে ফেলেন। সে কেনো নির্দেশনা মানছে না।
পিআইকে পাল্টা প্রশ্ন করা হয়েছিলো আপনি সরকারি কর্মকর্তা হয়ে একজন সম্মানিত চেয়ারম্যানকে বাধার নির্দেশ দিতে পারেন কি না ? পরে এ ব্যাপারে আর কোন কথা বলেন নাই। অন্যদিকে তাহেরহুদা ইউনিয়নের চিত্র এক প্রকৃতির। তাহেরহুদার গোপিনাথপুর বাজার সংলগ্ন কর্মসুচি কেদ্রে গেলে ৮০ জন শ্রমিকের মধ্যে ২৩ জন শ্রমিক উপস্থিত পওয়া যায়।
তিনিও দৌলতপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের মত দায়সারা গোছের জবাব দেন। এই অনুপস্থিতির চিত্র সমগ্র বএএশিরভাগ ইউপিতে বিরাজওমান। এখন সকলের মনে একই প্রশ্ন তাড়াহুড়া করে পিআইও কারস্বার্থে প্রকল্প শরু করলেন।
এই প্রকল্পে ১৮০০ শ্রমিকের প্রাই আট লাখ টাকার বাজেট। তবে এই টাকা হাতিয়ে নেওয়ার জন্যই কি চেয়ারম্যানেদের আগাম না জানিয়ে প্রকল্প শুরু করলেন পিআইও। এই বিষয়ে পিআইও এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি সাংবাদিকদের সাথে অশোভন আচোরন করে এবং বলেন আমাকে প্রশ্ন না করে আপনারা মাঠে গিয়ে দেখেন এবং যা খুশি তাই লেখেন।
এখন সাংবাদিক মহলের প্রশ্ন এই পিআইও এর খুটির জোর কোথায় ?
বিভিন্ন তথ্যে জানা গেছে তড়িঘড়ি করে কর্মসুচির ৪০ দিন পার করে টাকা হতিয়ে নেওয়াই এই পিআইও এর মূল উদ্দেশ্য।
এ ছাড়াও এই পিআইও এর বিরুদ্ধে টি আর,কাবিখাসহ উপজলো প্রকল্প বাস্তবায়নে সীমাহীন অনয়িম ও দুর্ণীতির অভেিযাগ পাওয়া গেছে।
এ বিষয়ে সত্যতা যাচাই করে নিয়মানুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের হস্থক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকার সচতেন মহল।
এদিকে উপজেলার ভায়না ইউনিয়নে ৪০ দিনের কর্মসূচির কাজ শনিবার ২৯ এপ্রিল সকাল ১১টায় হঠাৎ পরিদর্শন করেন হরিণাকুন্ডু নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুস্মিত সাহা এবং কাজ দেখে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন তিনি। তবে এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলেও জানাগেছে।