৩০ এপ্রিল ২০২৫
হোম স্বাস্থ্য সারাদেশ জাতীয় রাজনীতি অর্থনীতি ও বাণিজ্য খেলাধুলা বিনোদন আন্তর্জাতিক ধর্ম ও জীবন লাইফ স্টাইল শিক্ষা প্রযুক্তি ও বিজ্ঞান পরিবেশ চাকরি বা ক্যারিয়ার মতামত আইন-আদালত কৃষি ও প্রযুক্তি বিশেষ সংবাদ অপরাধ সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিশ্বকাপ ফুটবল
সারাদেশ / অপরাধ

স্ত্রী ও দুই সন্তান হত্যাকারী শাহেদ পলাতক এর বিরুদ্ধে মামলা

০৯ মে, ২০২৩

মোঃ সজীব মিয়া,
সরকারি সা'দত কলেজ (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি

ছবি: আসামী শাহেদ ও স্ত্রী সন্তানের লাশ

টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলার দেউলী ইউনিয়নে চকতৈল গ্রামে মা সহ দুই শিশু ছেলেকে নির্মমভাবে হত্যা করলোন বাবা। রবিবার (৭ মে) দুপুরে নিহত মনিরা বেগমের মা আবেদা বেগম বাদী হয়ে দেলদুয়ার থানায় মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ বলছে, আসামিদের ধরতে জোর অভিযান চলছে। স্বজনদের বক্তব্য নেশাগ্রস্ত শাহেদ তার স্ত্রী ও দুই শিশু ছেলে হত্যা করে পালিয়ে গেছে। এ নির্মম হত্যাকাণ্ডে পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। রবিবার আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহগুলো বাড়িতে আনার পর বিকেলে দাফন করা হয়। 

জানা যায়, ১০ বছর আগে শাহেদের সঙ্গে মনিরার পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। তাদের কোল জুড়ে আসে ফুটফুটে দুটি ছেলে সন্তান নাম মুশফিক (২) ও মাশরাফি (৮)। কিন্তু গত ৪/৫ বছর ধরে নেশায় আসক্ত হয়ে পড়েন শাহেদ। ফলে তাদের মধ্যে পারিবারিক কলহ লেগেই থাকতো। নেশার টাকার জন্য শাহেদ তার স্ত্রীকে নির্যাতন করতেন। শ্বশুরবাড়ি থেকে টাকা এনে দেওয়ার জন্য চাপ দিতেন। নেশার টাকার জন্য বাড়িঘরের বিভিন্ন জিনিসপত্রও বিক্রি করতেন। 

মামলার বাদী নিহত মনিরার মা আবেদা বেগম বলেন, আমার ৬ ছেলেমেয়ের মধ্যে মনিরা চতুর্থ। বড় নাতি মুশফিক হওয়ার পর থেকেই শাহেদ নেশায় জড়িয়ে পড়ে। আমার মেয়েকে নিয়মিত মারধর করতো। আমরা অনেক বোঝানোর চেষ্টা করেছি। তাতে কোনো লাভ হয়নি। সবশেষে আমার মেয়ে ও সোনার টুকরা দুই নাতিকে খুনই করল। 

আবেদা বেগম কান্নাজড়িত কণ্ঠে আরো বলেন, আমি এ হত্যাকারীর ফাঁসি চাই। যাতে আর কোনো পাষণ্ড এ ধরনের নির্মম ঘটনা ঘটানোর সাহস না পায়। এর যথাযথ বিচার না হলে খুনি শাহেদ আবার আমাদের ওপর অত্যাচার করবে।

দেলদুয়ার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসির উদ্দিন মৃধা বলেন, ঘটনার পর থেকে মনিরার স্বামী শাহেদ পলাতক রয়েছেন। শাহেদ ধরা পড়লে এবং লাশ তিনটির ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে। তবে আমাদের প্রাথমিক ধারণা তাদেরকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। মরদেহগুলোর গায়ে আঘাতের কোনো চিহ্ন নেই। উল্লেখ্য, শনিবার (৬ এপ্রিল) সন্ধ্যায় টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলার দেউলী ইউনিয়নের চকতৈল গ্রামে মনিরা বেগমের (৩০) গলায় ফাঁস লাগানো মরদেহ এবং তার দুই ছেলে দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র মুশফিক (৮) ও মাশরাফির (২) লাশ ঘরে পাওয়া যায়। খবর পেয়ে পুলিশ রাতেই লাশ তিনটি উদ্ধার করে। শাহেদ দেউলী ইউপির সাবেক সদস্য ফজলুল হকের ছেলে।

Related Article