১১ ডিসেম্বর, ২০২২
ছবি: সচিবালয়ে রোববার সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘২৪ ডিসেম্বর গণমিছিল ডাকা এটি দুরভিসন্ধিমূলক। ওই দিন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জাতীয় কাউন্সিল। সেদিন সারা দেশে সমাবেশ ডাকা; আমি মনে করে এটি দুরভিসন্ধিমূলক।’ তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি সরকারের পদত্যাগ দাবি করতে এসে নিজেরাই পদত্যাগ করছে। তারা দাবি করেছিল ডিসেম্বরে সরকারের পতন ও পদত্যাগ। অথচ দেখা যাচ্ছে তারাই পদত্যাগ করছে।’
সরকার হটাতে এসে বিএনপির সংসদ সদস্যরা (এমপি) পদত্যাগ করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
সচিবালয়ে রোববার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এই মন্তব্য করেন।
ঢাকার গোলাপবাগে শনিবার বিভাগীয় সমাবেশে পদত্যাগের ঘোষণার পর রোববার জাতীয় সংসদের স্পিকারের কাছে একযোগে পদত্যাগপত্র জমা দেন বিএনপির সাত এমপি।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি সরকারের পদত্যাগ দাবি করতে এসে নিজেরাই পদত্যাগ করছে। তারা দাবি করেছিল ডিসেম্বরে সরকারের পতন ও পদত্যাগ। অথচ দেখা যাচ্ছে তারাই পদত্যাগ করছে।
‘এ ছাড়া তারা ১০ দফা দাবি দিয়েছে। তারা প্রথমে বলেছিল ১০ তারিখের পর এক দফা দাবি। এখন দেখতে পাচ্ছি ১০ দফা দাবি। অর্থাৎ বিএনপি সন্ত্রাস, নৈরাজ্যের পথ ত্যাগ করতে পারে নাই। বিএনপি সে পথেই আছে। সে পথ থেকে যতদিন পর্যন্ত তারা বেরিয়ে আসতে না পারবে, ততদিন বিএনপির কোনো মঙ্গল হবে না।’
বিএনপির সংসদ সদস্যদের পদত্যাগে কোনো প্রভাব পড়বে কি না, জানতে চাইলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘তারা বলেছিল সরকারের পদত্যাগ দাবি করবে। ১০ ডিসেম্বর সরকার হটিয়ে দেবে। এখন দেখা যাচ্ছে তারা নিজেরাই হটে যাচ্ছে। এখন বিএনপির সাতজন সংসদ সদস্য নিজেরাই পদত্যাগের ঘোষণা দিচ্ছে। এতে প্রমাণিত হয় তারা আসলে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ও গণতন্ত্রকে বাধাগ্রস্ত করতে চায়।
‘এই পদত্যাগে সংসদ কিংবা সরকারের কোনো ক্ষতি হবে না; বরং ক্ষতি হবে বিএনপির। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ না নিয়ে যে ক্ষতি হয়েছে, এই পদত্যাগও বিএনপির ক্ষতি হবে। তার মতো একজন বাকপটু নেতা সংসদে থাকলে বিএনপির লাভ হতো। তিনি আত্মবিশ্বাস নিয়ে মিথ্যা বলতে পারেন। যেহেতু তিনি বাকপটু নেতা।’
তিনি বলেন, ‘৭ জন সদস্য পদত্যাগ করলে সংসদের কিছু হবে না। নিয়ম অনুযায়ী সেখানে উপনির্বাচন হবে। আর তাদের ১০ দফা দাবিও গতানুগতিক। এগুলো বহুদিন ধরে বলে আসছে। সেটার সাথে নতুন কিছু যোগ করেছে ফলে এগুলো গতানুগতিক দাবি।’
১০ লাখ মানুষের কথা বলে বিএনপি গোলাপবাগের সমাবেশে ৫০ হাজার মানুষ জড়ো করেছে দাবি করে ক্ষমতাসীন দলের অন্যতম মুখপাত্র হাছান মাহমুদ বলেন, ‘১০ লাখ মানুষের সমাবেশের কথা বলে তারা বড়জোর ৫০ হাজার মানুষের সমাবেশ করেছে। যে মাঠে তারা সমাবেশ করেছে সে মাঠে গরুর হাট বসে। তারা সে মাঠই পছন্দ করেছে। তাদের আরও অনেক বিকল্প বড় মাঠের কথা বলা হয়েছিল, কিন্তু তাদের গরুর বাজারের মাঠই পছন্দ।
‘যে মাঠে তারা সমাবেশ করেছে সেটার আয়তন হলো ৫০ হাজার বর্গফুট। একজন মানুষ দাঁড়াতে তিন বর্গফুট এলাকা লাগে। ফলে সে মাঠে কত মানুষ ধরে সেটা সহজে অনুমেয়। তার বাইরে রাস্তা মিলিয়ে ৫০ হাজার মানুষের সমাবেশ করেছে। আমাদের থানা সম্মেলনেও এর চেয়ে বেশি মানুষ হয়।’
২৪ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনের দিন বিএনপির গণমিছিলের কর্মসূচিকে দুরভিসন্ধিমূলক বলে মনে করছেন তিনি।