৩০ মার্চ, ২০২৩
ছবি: কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত সুগন্ধা পয়েন্ট
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে জোয়ারের ঢেউয়ের সাথে ভেসে এলো হাজার হাজার মরা জেলিফিশ।
বৃহসাপতিবার (৩০ মার্চ) জোয়ারের সময় কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের কলাতলী পয়েন্টের আশে-পাশে এসব মৃত জেলিফিশ ভেসে আসার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন সী সেইফ লাইফ গার্ড সংস্থার সিনিয়র লাইফ গার্ড কর্মী জয়নাল আবেদীন ভুট্টো।
তিনি জানান, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সন্ধ্যা সৈকতের কলাতলী পয়েন্ট শত শত মৃত জেলিফিশ বালুতে আটকে থাকতে দেখা গেছে। এসব মাছের মধ্যে কোনোটা আকারে ছোট, কোনোটা বড়। স্থানীয় জেলেদের কাছে জেলিফিশ সাগরের ‘লোনা’ হিসেবে পরিচিত জেলিফিশ গুলো সাধারণত হাত দিয়ে ধরলে চুলকাই।
বাংলাদেশ ওশানোগ্রাফিক রিসার্স ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দর বলেন, এই সময়ে জেলিফিশগুলো মরার সিজন নয়। হয়ত জেলিফিশ উপকূলের কাছাকাছি এসে জেলেদের জালে আটকা পড়েছিল। পরে জেলেরা জেলিফিশগুলো ফেলে দেওয়ায় মরা জেলিফিশগুলো সৈকতের বেলাভূমিতে আসতে শুরু করেছে।
সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দর আরো বলেন, এরই মধ্যে জেলিফিশের স্যাম্পল সংগ্রহ করেছে বাংলাদেশ ওশানোগ্রাফিক রিসার্স ইনস্টিটিউটের একটি টিম। তবে এতো সংখ্যক জেলিফিশ আগে কখনো ভেসে আসেনি। তবে এটি কি প্রজাপতি এবং কি কারণে ভেসে এসেছে এটা পরে বলা যাবে। এখন এই সংক্রান্ত কাজ চলছে।
কক্সবাজার টুরিস্ট পুলিশের ওসি দেলোয়ার হোসেন বলেন, জেলেফিশ ভেসে আসছে খবর পেয়ে আমাদের টিম কাজ করছে। এর আগে গত বছরের ৩ ডিসেম্বর, ১১ নভেম্বর ও আগস্ট গত অগাস্ট মাসের শুরুতে দুই দফায় অসংখ্য মৃত জেলিফিশ ভেসে এসেছিল। কলাতলি সৈকতে ভেসে আসা মৃত জেলিফিস নিয়ে আতংকিত হওয়ার কিছু নেই।
পরীক্ষা করে দেখা গেছে এদের কর্ষিকায় মানুষের জন্য ক্ষতিকর কোন বিষ নেই।পৃথিবীতে প্রায় ২৫০০ প্রজাতীর জেলিফিস চিহ্নিত হয়েছে যার অধিংকাশই মানুষের শরীরের বিষক্রিয়া সৃষ্টি করে, এমনকি কিছু কিছু জেলিফিসের কর্ষিকার সংস্পর্শে আসলে মানুষের মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।আবার বিশ্বব্যাপী ১২টি জেলিফিস সানাক্ত করা হয়েছে যেগুলো খাদ্য হিসেবে গ্রহন করা হয়।
তবে আমাদের সৈকতে এখন পর্যন্ত যে দু’টি প্রজাতীর জেলিফিসের ব্লুম লক্ষ্য করা গেছে সেগুলির কোনটিই বিষাক্ত নয় এবং মানুষের জন্য ক্ষতিকর নয়। এসব জেলিফিস খালি হাতে স্পর্শ করলেও কোন ক্ষতিকর প্রভাবের সম্ভাবনাই নাই। ফলে বিষয়টি গবেষকদের ভাবনার বিষয় হলেও পর্যটকদের আতংকিত হবার কিছু নেই। পরবর্তি জোয়ারে এসব মৃত জেলিফিসের অধিকাংশই আবার সাগরে ভেসে যাবে।
এদের শরীরে প্রায় ৮০-৯০ শতাংশ পানি থাকায় সৈকতে আটকা পড়া জেলিফিসের মধ্যে যেগুলো পরবর্তি জোয়ারেও ভেসে না গিয়ে থেকে যাবে সেগুলোও ৭/৮ ঘন্টার মধ্য সৈকতের বালিয়ারীতে মিশে যাবে এবং লাল কাঁকড়াসহ সৈকতের বালিয়ারীতে বসবাসকরা অপরাপর সামুদ্রিক প্রাণীরা এদের খাদ্য হিসেবে গ্রহন করবে।
Good news
Good