১৯ অগাস্ট, ২০২৪
ছবি: শহীদ ইমনের জানাজা শেষে মোনাজাত
পুলিশের গুলিতে আহত হয়েছে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাওয়া ইমনের জানাযা নিজ গ্রামের বাড়িতে অনুষ্ঠিত হয়েছে। জানাযা শেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
রবিবার ( ১৮ আগষ্ট) রাত ৯টার দিকে টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার নলীনের নইমুদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ইমনের জানাযা অনুষ্ঠিত হয়।
এতে উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় বিএনপির প্রচার সম্পাদক ও সাবেক যুবদল সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, জেলা প্রশাসক মো. কায়সারুল ইসলাম, জেলা পুলিশ সুপার গোলাম সবুর, অতিরিক্তি পুলিশ সুপার শরফুদ্দিন, টাঙ্গাইল জেলা জামাতের সেক্রেটারি মো.হুমায়ুন কবির,
ভুঞাপুর উপজেলার বিএনপির সভাপতি এডভোকেট গোলাম মোস্তফা, সাধারন সম্পাদক সেলিমুজ্জামান তালুকদার সেলুসহ বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা-উপজেলার সমন্বয়করা উপস্থিত ছিলেন।
নিহত ইমনের ছোট ভাই হাফেজ সুমন জানাযা পড়ান।
জানাযা শেষে বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু বলেন, নিহত ইমন অজূর্না ইউনিয়ন ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক ছিল। সে দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হয়েছে। তার পরিবারের দায়িত্ব দল বিএনপি নিবে। ইতোমধ্যে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ইমনের পরিবারের দায়িত্ব নিয়েছেন।
তিনি আরো বলেন, যথাসময়ে আমাদের দেশনায়ক দলের কান্ডারি দেশে ফিরবেন।
এরআগে গত ৫ আগষ্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশত্যাগের পর বিকেলে টাঙ্গাইলের গোড়াই এলাকায় পুলিশের সাথে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয় কলেজ ছাত্র ইমন। পরে তাকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এতে তার শারিরীক অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৮ আগষ্ট সকালে তার মৃত্যু হয়।
নিহত ইমন গোপালপুর উপজেলার নলীন নইমুদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি ও ভূঞাপুরের অলোয়া মনিরুজ্জামান স্কুল এন্ড কলেজ থেকে ২০২৩ সালে এইচএসসি পাশ করে গোপালপুরের হেমনগর ডিগ্রি কলেজে ভর্তি হয়। পরে নিজের পড়াশোনার খরচ ও সংসারের হাল ধরতে টাঙ্গাইলের এক চাচার বাসায় থেকে বিভিন্ন বাসা-বাড়িতে টিউশনি করতো।