১৬ জানুয়ারী, ২০২৩
ছবি: প্রতিকী ছবি
বগুড়া শেরপুর উপজেলায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপ-সহকারি প্রকৌশলী মোঃ মাহমুদুল হাসানের উপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে। আজ ১৬ জানুয়ারি (সোমবার) দুপুরে উপজেলার খামারকান্দী ইউনিয়নের ঝাজর-বিলনোথার সড়কে মুখোশধারী সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা এই হামলা চালায়।
হামলার পর হামলাকারীরা পালিয়ে গেলে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠিয়ে দেন। এরপর তিনি সেখান থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা গ্রহণ করেছেন। হামলার ঘটনায় একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সম্পৃক্ততা থাকতে পারে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।
এ ব্যপারে উপজেলা প্রকৌশলী লিয়াকত হোসেন বলেন, উপজেলার খামারকান্দী ইউনিয়নের ঝাজর গ্রামে প্রায় ছয় কোটি টাকা ব্যয়ে একটি আরসিসি গার্ডার ব্রিজ নির্মানের কাজ চলছে। এটার তত্ত্বাবধানে আছে উপ-সহকারী প্রকৌশলী মাহমুদুল হাসান। আজ সোমবার ব্রিজ পরিদর্শন শেষে ফেরার পথে ৩ জন সশস্ত্র মুখোশধারী সন্ত্রাসী তার গড়ির গতিরোধ করে হামলা চালায়। ব্যাপক মারধর করে তাকে সেখানে ফেলে রেখে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করেন।
প্রকৌশলী লিয়াকত হোসেন আরো বলেন, এই ঘটনায় ঠিকাদারের লোকজন জড়িত থাকতে পারে। কিছুদিন আগে ব্রিজ নির্মাণে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার ও অনিয়ম করায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লোকজনের সাথে মাহমুদুল হাসানের বাকবিতন্ডা হয়। এর এক পর্যায়ে কাজ বন্ধ করে দেন মাহমুদুল হাসানের। এর পরই তার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে যায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লোকজন। এরই ঘটনার জের ধরে হামলার ঘটনা ঘটে থাকতে পারে বলে জানান প্রকৌশলী লিয়াকত হোসেন।
অন্যদিকে ঠিকাদার খোবাইব হোসেন তার বিরুদ্ধে সকল অভিযোগ অস্বীকার করেন। এ ঘটনায় তিনি বা তার কোন লোক জড়িত নেই বলে তিনি দাবিও করেন।
শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতাউর রহমান খোন্দকার ঘটনাটির সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ইতিমধ্যে হামলার ঘটনায় তদন্ত শুরু হয়েছে। সেই সাথে সন্ত্রাসীদের দ্রুত গ্রেফতারের জন্য পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।