৩০ এপ্রিল ২০২৫
হোম স্বাস্থ্য সারাদেশ জাতীয় রাজনীতি অর্থনীতি ও বাণিজ্য খেলাধুলা বিনোদন আন্তর্জাতিক ধর্ম ও জীবন লাইফ স্টাইল শিক্ষা প্রযুক্তি ও বিজ্ঞান পরিবেশ চাকরি বা ক্যারিয়ার মতামত আইন-আদালত কৃষি ও প্রযুক্তি বিশেষ সংবাদ অপরাধ সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিশ্বকাপ ফুটবল
জাতীয়

সাতছড়িতে বন্যশুকরের মাংশ ভাগ বাটোয়ার সময় বন বিভাগের হাতে ধরা ৪ শিকারী, মামলা দায়ের

২৫ জানুয়ারী, ২০২৫

মোঃ মনির হোসেন বকাউল,
মাধবপুর উপজেলা (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি

ছবি: বন্যশুকরের মাংশের ভাগ বাটোয়ারার সময় বন বিভাগের হাতে ধরা ৪ শিকারী

হবিগঞ্জের সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে বন্যশুকর শিকার করে মাংস ভাগ বাটোয়ারা করার সময় ঘটনাস্থলে বন বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত হয়ে ৪ জন শিকারিকে আটক করে মামলা দায়ের করেছে বন বিভাগ।

শনিবার (২৫ জানুয়ারি) হবিগঞ্জের মাধবপুর ও চুনারুঘাট উপজেলা ঘেষা তেলমাছড়া বিটের বিট কর্মকর্তা মেহেদী হাসান বাদী হয়ে বন আদালত তথা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বন্যপ্রাণী আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে ৪ জনের বিরুদ্ধে ওই মামলা দায়ের করে।

মামলার আসামীরা হলেন -স্থানীয় মাধবপুর উপজেলার সুরমা চা বাগানের মহাজিল গ্রামের বাসিন্দা মন্টু বাকতি,বিপন হাজদা,রতন মৃধা ও শুকরাম সাওতাল।

বন বিভাগ সূত্র বলছে,ওই আসামীরা দীর্ঘদিন থেকে রঘুনন্দন পাহাড় ও সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানের বিভিন্ন বন্যপ্রাণী শিকার ও পাচারের সাথে জড়িত। সাম্প্রতি সাতছড়ি উদ্যানে ভালুকের উপরও তারা নজরদারি করছিল।তারা প্রতিনিয়ত ফাঁদ পেতে মায়া হরিণ ও বন্য শুকর শিকার করে মাংস বিক্রি করছে।আটককৃত ৪ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে অন্যান্য আরো বন্যপ্রাণী শিকারীদের নাম বের করা সম্ভব।

স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী বন্যপ্রাণী সংগঠন পাখি প্রেমিক সোসাইটির যুগ্ম আহ্বায়ক বিশ্বজিৎ পাল জানান,একটি সংঘবদ্ধ চক্র রঘুনন্দন পাহাড় ও সাতছড়ি উদ্যানে বন্যপ্রাণী শিকার ও পাচার করছে।গোয়েন্দা নজরদারির মাধ্যমে এদের আইনের আওতায় এনে সাজা দেওয়া প্রয়োজন।

স্থানীয় বন বিভাগের বিট কর্মকর্তা মেহেদি হাসান জানান, ইদানীং সাতছড়ি উদ্যানে ভালুকের অস্তিত্ব পাওয়া যাওয়ায় আমরা টহল জোরদার করেছি।এরই ধারাবাহিকতায় আজকে আমরা ৪ জনকে আটক করে বন্যপ্রাণী আইনে মামলা দিয়েছি।আমরা সকলকে বন্যপ্রাণীর শিকারীদের তথ্য দেওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।

ছবি:বন্যশুকরের মাংশের ভাগ বাটোয়ারার সময় বন বিভাগের হাতে ধরা ৪ শিকারী।

Related Article