১৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩
ছবি: কবি জীবনানন্দ দাশের
বিংশ শতাব্দীর অন্যতম শক্তিশালী কবি জীবনানন্দ দাশের ১২৪ তম জন্মদিন আজ। রূপসী বাংলার কবি ১৮৯৯ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি বরিশাল জেলায় জন্মগ্রহণ করেন।
কবির পূর্বপুরুষেরা ছিলেন মুন্সীগঞ্জ জেলার বিক্রমপুর পরগনা নিবাসী। তার মা কবি কুসুম কুমারী দাশ ও পিতা সত্যনানন্দ দাশ। তার পিতামহ সর্বানন্দ দাশগুপ্ত (১৮৩৮-৮৫) বিক্রমপুর থেকে বরিশালে নিবাস স্থানান্তরিত করেন। সর্বানন্দ দাশগুপ্ত জন্মসূত্রে হিন্দু ছিলেন; পরে ব্রাহ্মধর্মে দীক্ষা নেন। তিনি বরিশালে ব্রাহ্ম সমাজ আন্দোলনের প্রাথমিক পর্যায়ে অংশগ্রহণ করেন এবং তার মানবহিতৈষী কাজের জন্যে ব্যাপকভাবে সমাদৃত হন।
বাংলা সাহিত্যের শক্তিশালী কবি ও লেখকের জীবন কেটেছে চরম দরিদ্রতার মধ্য দিয়ে। রবীন্দ্র-পরবর্তীকালে বাংলা ভাষার প্রধান কবি হিসাবে তিনি সর্বসাধারণে স্বীকৃত। তাকে বাংলা ভাষার শুদ্ধতম কবি অভিধায় আখ্যায়িত করা হয়েছে।
জীবনানন্দ দাশ ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভের পর ১৯২২ সালে কলকাতা সিটি কলেজে অধ্যাপনার মধ্য দিয়ে পেশাগত জীবন শুরু করেন। তিনি একাধারে কবি, প্রাবন্ধিক, গল্পকার, ঔপন্যাসিক, গীতিকার। স্কুলজীবনেই কবি জীবনানন্দ দাশ বাংলা ও ইংরেজিতে লেখালেখি শুরু করেন। তার প্রথম কবিতা ‘বর্ষ’ ১৯১৯ সালে ‘ব্রাহ্মবাদী’ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।
তিনি ১৯৫৪ সালের ২২ অক্টোবর ৫৫ বছর বয়সে কলকাতায় ট্রাম দুর্ঘটনায় মারা যান।
তার অমর কাব্যগ্রন্থের মধ্যে রয়েছে ধূসর পানডুলিপি, বনলতা সেন, মহাপৃথিবী, সাতটি তারার তিমির, রূপসী বাংলা, বেলা অবেলা কালবেলার কবিতা ইত্যাদি।