২০ নভেম্বর, ২০২৩
ছবি: সংগৃহীত
দেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনসহ নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবীতে বেশ কয়েকদিন যাবত দেশব্যাপী লাগাতার হরতাল অবরোধ এবং বিক্ষোভ মিছিলের কর্মসুচি পালন করে আসছে।
কিছু কিছু জায়গায় অগ্নিসংযোগ ও ভাংচুরের ঘটনাও ঘটেছে। বর্তমানে সময়ে জামায়াতের দফায় দফায় অবরোধের সমর্থনে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ মিছিল, অবস্থান কর্মসুচি পালনকালে বিভিন্ন জায়গায় গাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনা লক্ষ করা গেছে।
তবে জামায়াত নেতারা বলছেন বিক্ষোভ মিছিল সমাপ্ত হওয়ার কিছুক্ষণ পর পরই বিভিন্ন বাসে আগুন লাগানোর বিষয় আমরা লক্ষ করছি।
এসকল কর্মকাণ্ডের সাথে জামায়াতে কোন সমৃক্ততা নেই বলে দাবী করেছেন মহানগরী উত্তর দক্ষিণের অধিকাংশ নেতা।
জামায়তের তথ্য সুত্রে জানা গেছে, গত শনিবার৷ (১৮ নভেম্বর) রাজধানীর বিভিন্ন স্থানের অবরোধ সমর্থনের বিক্ষোভ মিছিলের ঘটনা বিশ্লেষণ করে তারা বলেছেন, ধানমন্ডিতে জামায়াতের মিছিল হয়েছে সন্ধ্যায়, অথচ বাসে আগুন দেওয়া হয়েছে রাত ১১টার দিকে।
মেয়র হানিফ ফ্লাই ওভারের নিচে সন্ধ্যায় মিছিল সম্পন্ন করেছে জামায়াত, সেখানে রাত ৮টার দিকে ফ্লাই ওভারের উপরে বাসে আগুন দেওয়া হয়েছে। কাফরুলে সন্ধ্যায় মিছিল শেষ সাবাই চলে গেলে ৭টার দিকে একটি পরিত্যক্ত বাসে আগুন দেওয়া হয়
এদিকে কালশী এলাকায় মিছিল হয়নি তবে বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) সকাল ৬টায় ৫জনকে গ্রেফতার করে ৩০মিনিটের মধ্যে এভিনিউ—৫ এলাকায় পার্কিং করা ১টি বাসে আগুন দেওয়া হয়েছে। গ্রেফতারকৃতরা হলেন ১। মোঃ অাব্দুল হাকিম (৫৫),২। মোঃ নেছার উদ্দিন আহমেদ (৬০), ৩। মোঃ মোফাজ্জল হোসেন(৫৯), ৪। সাইফুল ইসলাম(২৬), ৫। শফিকুল ইসলাম সরকার(৪৯), ৬। মোঃ দুলাল (৫২), ৭। মোঃ আলী হোসেন (৬০), ৮। মোর্শেদ আলম (৫৫)।
সেই সুত্র ধরে শনিবার রাত ১২টায় কালশীতে বসুমতি বাসে আগুন দেওয়া হয়েছে। পরে তাদেরকে পল্লবী থানার অফিসার ইনচার্জ মাহফুজুর রহমানের স্বাক্ষরিত এজাহারের মাধ্যমে ১৫(৩)/২৫—D special Force Act 1974 ধারায়, (পল্লবী থানার মামলা নং ২৩) মামলা রুজু করে ১৬ নভেম্বর আদালতে প্রেরণ করা হয়।
পল্লবী থানা জামায়াতের আমির সাইফুল কাদের বলেন পরিকল্পিত ভাবে সরকার বিরোধীদলের নেতাকর্মীদের হয়রানি করার জন্য এসকল পরিত্যক্ত পুরাতন গাড়ি ভাড়াটিয়া লোকদের মাধ্যমে অগ্নিসংযোগ করছে। আন্দোলন বাধাগ্রস্ত করার ব্যর্থ পরিকল্পনায় সরকার সফল হতে চায়।