২৬ এপ্রিল, ২০২৩
ছবি: j
প্রায় ১২ বছর পর কলাপাড়ার লালুয়া ইউনিয়নের ৬০০ পরিবার স্বস্তিতে ঈদ উদযাপন করেছে। সিডরের তাণ্ডবের পর বেড়িবাঁধ বিধ্বস্ত জনপদ লালুয়ার রাবনাবাদ পাড়ের চারিপাড়ায় এ পরিবারগুলোর বসতি ছিল। এক যুগেরও বেশি সময় ধরে অস্বাভাবিক জোয়ার হলেই তলিয়ে যেত এ অঞ্চলের জনপদ। এখন এ অঞ্চলের বাসিন্দারা সবাই পায়রা বন্দর কর্তৃক্ষের পুনর্বাসন প্রকল্পের মাধ্যমে পেয়েছেন পাকা ভবন।
জানা গেছে, পায়রা বন্দরের রাবনাবাদ পাড়ের চারিপাড়া, চৌধুরীপাড়া, নেওয়াপাড়াসহ বিভিন্ন গ্রামের ৬২০ পরিবার এখন মহল্লাপাড়ায় পায়রা বন্দরের পুনর্বাসন পল্লীর পাকা ভবনে বসবাস করছে। এসব পরিবারের সদস্যরা এক যুগ পর এবার স্বস্তিতে ঈদ উদযাপন করেছেন। ওই গ্রামগুলোর জমি পায়রা বন্দর অধিগ্রহণ করায় তারা বসতবাড়ির ক্ষতিপূরণও পেয়েছেন। কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে এসব পরিবার থেকে একজন করে সদস্য বিভিন্ন ট্রেডে প্রশিক্ষণ পেয়েছেন।
সুবিধাভোগী মো. শামিম জানান, স্ত্রী সন্তান নিয়ে বন্যার সময় আতঙ্কে থাকতেন তারা। পানিতে তলিয়ে যেত তাদের বসতঘর। এই বছর পাকা ভবনে উঠে নিশ্চিন্তে বসবাস করতে পারছেন।
এ ছাড়া শামিমের মতো একাধিক সুবিধাভোগী জানান, আগে বাড়ি থেকে কোমর সমান পানি ভেঙে ঈদের নামাজ পড়তে মসজিদের যেতে হতো। গ্রামের কোনো পরিবার কারও বাড়িতে নৌকা ছাড়া যেতে পারত না। বর্ষায় জীবন-জীবিকা চালাতে চরম ধকল পোহাতে হতো তাদের। চুলাও পানিতে ডুবে যেত। এই বছর তারা পাকা ভবনে স্বস্তিতে ঈদ পালন করেছেন।
লালুয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শওকত হোসেন তপন বিশ্বাস জানান, রাবনাবাদপাড়ের এসব পরিবার ১২ বছরের বেশি সময় ধরে কষ্টের মধ্যে দিয়ে জীবনযাপন করে আসছিল। তাদের এ ভোগান্তি এখন লাঘব হয়েছে। প্রত্যেককে পাকা ভবন নির্মাণ করে দেওয়া হয়েছে।
Good news
Good