৩০ এপ্রিল ২০২৫
হোম স্বাস্থ্য সারাদেশ জাতীয় রাজনীতি অর্থনীতি ও বাণিজ্য খেলাধুলা বিনোদন আন্তর্জাতিক ধর্ম ও জীবন লাইফ স্টাইল শিক্ষা প্রযুক্তি ও বিজ্ঞান পরিবেশ চাকরি বা ক্যারিয়ার মতামত আইন-আদালত কৃষি ও প্রযুক্তি বিশেষ সংবাদ অপরাধ সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিশ্বকাপ ফুটবল
অপরাধ

পুঠিয়ায় আওয়ামী লীগ নেতার হাতে প্রধান শিক্ষক লাঞ্ছিত

০৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩

মোঃ মাহবুবুল ইসলাম,
স্টাফ রিপোর্টার

ছবি: আওয়ামীলীগ নেতা অ্যাডভোকেট আব্দুস সামাদ

রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সামাদের বিরুদ্ধে স্কুলের প্রধান শিক্ষককে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী প্রধান শিক্ষক কোরবান আলী পালিয়ে বাথরুমে গিয়ে ৯৯৯ নাম্বারে ফোন করে আত্মরক্ষা করার জন্য সহায়তা চান। পরে পুঠিয়া থানা পুলিশ তাকে উদ্ধার করে। সোমবার বেলা সাড়ে ১১ টায় পুঠিয়া বিড়ালদহ সৈয়দ করম আলী শাহ (র.) হাইস্কুলের অফিসকক্ষে এ ঘটনা ঘটে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে, অ্যাডভোকেট আব্দুস সামাদ শিক্ষককে লাঞ্ছিত করার বিষয়টি অস্বীকার করে “তারুণ্য ২৪” কে বলেন, পুঠিয়া উপজেলার বিরালদহ সৈয়দ করম আলী শাহ উচ্চ বিদ্যালয়ে ২০১৭ সালের আগস্ট মাস থেকে এ্যডহক কমিটি দ্বারা পরিচালিত হয়ে আসছে। বর্তমান অ্যাডহক কমিটির মেয়াদ পুর্তির তারিখ আগামী ৯/০২/২০২৩ হলেও এই উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ কুরবান আলী অদ্যবধি নিয়মিত পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের উদ্যোগ গ্রহণ না করলে, অত্র বিদ্যালয়ের সচেতন অভিভাবকগণ প্রধান শিক্ষক মহোদয়ের নিকট বারংবার নিয়মিত কমিটি গঠনের অনুরোধ করলেও তিনি প্রকাশ্যে কোন প্রকার উদ্যোগ গ্রহণ করে নাই। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সচেতন অভিভাবকগণ যথাযথ কর্তৃপক্ষের বরাবরে লিখিত অভিযোগ করলেও অদৃশ্য কারণে এখন পর্যন্ত দৃশ্যমান কোন কার্যক্রম দেখা না গেলে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সচেতন অভিভাবক গন এই সমস্যার সমাধানের জন্য আমাকে বিশেষভাবে অনুরোধ করে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অভিভাবকগণ গত কয়েকদিন আগে আমার কাছে আসে। আমি এবং আমরা কয়েকজন অভিভাবক  প্রধান শিক্ষকের কাছে গেলে তিনি পুনরায় মিথ্যা আশ্বাস দেন এবং বলেন নিয়মিত কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া চলছে। কিন্তু  চুড়ান্ত ভোটার তালিকা, তফসিল কোন কিছুই নোটিশ বোর্ডে দৃশ্যমান নাই! আমরা  অভিভাবকগণ প্রধান শিক্ষক মহোদয়ের সাথে কথা শেষ করে চলে আসার পরে, প্রধান শিক্ষক শৌচাগারে প্রবেশ করে ট্রিপল নাইনে (999) কল করে পুলিশ প্রশাসনকে ডেকে নিয়ে একটি নাটক করে এবং থানায় একটি মিথ্যা সাধারণ ডায়রী করেন।

অপরদিকে প্রধান শিক্ষক কোরবান আলী বলেন, প্রতিদিনের মতো সোমবারও স্কুলে ক্লাস চলছিল। এ সময় আব্দুস সামাদ দলবল নিয়ে অফিস কক্ষে হাজির হন। পরে জোরপূর্বক একটি সাদা কাগজে সই দিতে বলেন। আমি ওই কাগজে সই দিতে না চাইলে তিনি তর্ক শুরু করেন। একপর্যায়ে আমাকে ধাক্কা দেন। আমি বাথরুমে গিয়ে দরজা বন্ধ করে নিজের আত্মরক্ষার জন্য ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিই। পুঠিয়া পুলিশ এসে আমাকে উদ্ধার করে। এ বিষয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছি।

Related Article