০৪ অগাস্ট, ২০২৩
ছবি: পুঠিয়া সমাজ সেবা অফিস।
পুঠিয়ায় সমাজসেবা কার্যালয়ের ভাতা ভোগিরা প্রতারণার শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন।
গত অর্থবছরের এসব ভাতাভোগিরা তাদের ভাতার টাকা মোবাইলে পাওয়ার পর এক শ্রেণীর প্রতারক তাদের প্রতারণার ফাঁদ পেতে বেশ কয়েকজন ভাতা ভোগিদের সর্বশান্ত করেছে।
এসব প্রতারকেরা উপজেলার সমাজসেবা অফিসের কর্মকর্তা ও জেলা সমাজসেবা কর্মকর্তার নাম ভাঙ্গিয়ে প্রতারণা করছে। প্রতারণার শিকার উপজেলার
বিধবা, বয়স্ক ও প্রতিবন্ধি ভাতা ভোগিরা রয়েছেন।
পুঠিয়া সমাজসেবা অফিস সূত্রে জানা গেছে, গত অর্থ বছরে পুঠিয়া সমাজসেবা অধিদপ্তর থেকে বিধবা ভাতা পেয়েছেন ২৮৬৬ জন, বয়স্ক ভাতা পেয়েছেন ৬৪৭৬ জন ও প্রতিবন্ধি ভাতা পেয়েছেন ৪৪৮৩ জন।
এসব ভাতা ভোগিদের তিন মাস পর পর বিধবা ও বয়স্কদের মাসে ৫’শ টাকা করে এবং প্রতিবন্ধিদের মাসে ৮’শ ৫০ টাকা করে ভাতা প্রদান করা হয়।
ভাতার টাকা ভাতা ভোগিদের মোবাইল ফোনের মাধ্যমে দেওয়া হয়।
মোবাইল ফোনের নগদের মাধ্যমে ভাতা প্রদানের সাথে সাথে এক শ্রেণীর প্রতারক চক্র ভাতাভোগির মোবাইলে ফোন করে কাওকে রাজশাহী সমাজ সেবা অফিসের লোক বলে কাওকে পুঠিয়া সমাজ সেবা অফিসের লোক বলে ফোনের নগদের একাউন্ট সমস্যা রয়েছে বলে ফোন করে।
পরে ফোনটির টাকা উত্তোলণের জন্য একটি ওটিপি পাঠায় সেটি বলার জন্য ভাতাভোগিদের জানানো হয়। ওটিপি'টি বলার সাথে সাথে প্রতারক চক্র মোবাইলের পিন বদল করে মোবাইলে থাকা টাকা উত্তোলন করে নেয়।
উপজেলার প্রায় প্রতিটি ইউনিয়নের ভাতা ভোগিরা এ ধরনের প্রতারণার শিকার হয়েছে।
প্রতারণার শিকার একাধিক ভাতাভোগিরা জানিয়েছেন, আামরা তাদের কথা বিশ্বাস করে সর্বশান্ত হয়েছি।
এ ব্যাপারে পুঠিয়া সমাজ সেবা অফিসার রবিউল করিম জানান, প্রতারণার বিষয়টি আমরা জানতে পেরে আমাদের ভাতাভোগিদের শতর্ক করে দিয়েছি। নগদকে আমরা এ ধরনের প্রতারণার কথা জানিয়েছি।
এছাড়াও যে সব নম্বর দিয়ে প্রতারণা করা হয়েছে সেসব নম্বর উল্লেখ করে থানায় একটি জিডি করা হয়েছে বলে এ কর্মকর্তা জানিয়েছেন।