৩০ এপ্রিল ২০২৫
হোম স্বাস্থ্য সারাদেশ জাতীয় রাজনীতি অর্থনীতি ও বাণিজ্য খেলাধুলা বিনোদন আন্তর্জাতিক ধর্ম ও জীবন লাইফ স্টাইল শিক্ষা প্রযুক্তি ও বিজ্ঞান পরিবেশ চাকরি বা ক্যারিয়ার মতামত আইন-আদালত কৃষি ও প্রযুক্তি বিশেষ সংবাদ অপরাধ সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিশ্বকাপ ফুটবল
রাজনীতি / সারাদেশ

পুঠিয়া পৌরসভার দৃশ্যমান কোনও উন্নয়ন নেই, অথচ কোটি টাকার ঋণ

১৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩

মোঃ মাহবুবুল ইসলাম,
স্টাফ রিপোর্টার

ছবি: বর্তমান ভাড়াকৃত পুঠিয়া পৌরসভা ভবন। এবং পূর্বের অস্থায়ী পৌরসভা ভবন।

প্রতিষ্ঠার ২২ বছরেও দৃশ্যমান কোনো উন্নয়ন হয়নি রাজশাহীর পুঠিয়া পৌরসভা এলাকায়। বছরে কোটি টাকার বেশি রাজস্ব আদায় হলেও এটি ঋণের দায়ে ডুবছে বলে জানা গেছে। কাউন্সিলরদের অভিযোগ, সাবেক মেয়র ভুয়া বিল-ভাউচারের মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। এ কারণে পৌরসভার এখন ঋণ ১ কোটি ৩০ লাখ টাকা।

পৌরসভা সূত্রে জানা গেছে, ২০০১ সালে পুঠিয়া পৌরসভা গঠন করা হয়। এরপর সীমানা নির্ধারণ মামলায় জটিলতার কারণে সেখানে প্রশাসক দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৬ সালে প্রথম পৌরসভায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয়বার নির্বাচন হয় ২০২০ সালে। তখন ৯৪ লাখ টাকা ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে আল মামুন মেয়র হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। গত দুই বছরে সেই ঋণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ১ কোটি ৩০ লাখ টাকা। অথচ এই দুই বছরে পৌরসভার রাজস্ব আয় হয়েছে অন্তত দুই কোটি টাকা।

এদিকে অর্থসংকটের কারণে গত সাত মাস যাবৎ পৌরসভার কর্মকর্তা কর্মচারীদের বেতন-ভাতা বন্ধ রয়েছে।

পৌরসভা গঠনের পর, ২০০২ সালে পৌরসভা ভবন নির্মাণকাজে ৭৫ লাখ টাকা সংশ্লিষ্ট দপ্তরের পক্ষ থেকে বরাদ্দ দেওয়া হয়। এক অজানা কারণে, আজও সে ভবন নির্মাণ হয়নি।  ভবন নির্মাণ না করায় সংশ্লিষ্ট দপ্তর বরাদ্দকৃত অর্থ ফেরত চেয়ে একাধিকবার পত্র দিলেও এখন পর্যন্ত তা ফেরত দেওয়া হয়নি।

কাউন্সিলর শফিকুল ইসলাম রুহুল “তারুণ্য ২৪”কে বলেন, নারী কেলেঙ্কারির অভিযোগে সদ্য বরখাস্ত হওয়া মেয়র আল মামুন ও সহকারী প্রকৌশলী শহিদুল ইসলামের যোগসাজশে পৌরসভায় ব্যাপক লুটপাট করেছেন। এই দুজন মিলে ভুয়া বিল-ভাউচার করে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পের লাখ লাখ টাকা গায়েব করেছেন। তাঁদের এসব অনিয়মের বিষয় উল্লেখ করে গত বছরের নভেম্বরে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়, বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক, দুর্নীতি দমন কমিশনসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।

সোহেল রানা নামের এক পৌরবাসী অভিযোগ করে বলেন, জন্ম, মৃত্যু, নাগরিক সনদসহ যেকোনো কাগজপত্র তুলতে গেলে টাকা ছাড়া দেওয়া হয় না। অথচ পৌরসভা গঠনের ২২ বছরে নাগরিকদের অর্থ লুটপাট ছাড়া এলাকায় কোনো উন্নয়ন নেই। তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত পৌরসভার নিজস্ব ভবন করা হয়নি। যাযাবরের মতো বিভিন্ন এলাকায় ভাড়া ঘরে দাপ্তরিক কাজ চালানো হয়।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক কাউন্সিলর “তারুণ্য ২৪”কে বলেন, প্রতিবছর হাটবাজার ও বিভিন্ন কর আদায়ের মাধ্যমে পৌরসভায় কোটি টাকার বেশি রাজস্ব আদায় হয়। ব্যয় হয় এর প্রায় অর্ধেক। কিন্তু প্রতিবছর পৌরসভার ঋণ কেন এত বাড়ে, তা রহস্যজনক।  তবে এসব বিষয়ে পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত সচিব শহিদুল ইসলাম বলেন, তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো মিথ্যা। ভবন নির্মাণের অর্থ গায়েবের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান।

মেয়র আল মামুন নারী কেলেঙ্কারি অভিযোগে কারাগারে থাকায় তাঁর বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এ ব্যাপারে ভারপ্রাপ্ত মেয়র ও কাউন্সিলর কামাল হোসেন বলেন, "আমি দায়িত্ব নেওয়ার সময় ১ কোটি ৩০ লাখ টাকা ঋণের বিষয়টি আমাকে অবগত করা হয়েছে। আর গত দুই বছরে পৌরসভার রাজস্ব আয়-ব্যয়ের বিষয়ে সাবেক মেয়র ও সচিব ভালো বলতে পারবেন।"

Related Article
comment
মোঃ মনির হোসেন বকাউল
29-Sep-23 | 10:09

Good news

মোঃ মনির হোসেন বকাউল
10-Dec-23 | 04:12

Good