২৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩
ছবি: ঘটনাস্থলে এলাকাবাসির ভীড়
গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে পরকীয়া দেখে ফেলায় নুরুল ইসলামের (৪৫) নামের এক স্বামীর চোখ উপড়ে ফেলার অভিযোগ উঠেছে স্ত্রী সাজেদা বেগমের বিরুদ্ধে।মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে উপজেলার কালুগাড়ী গ্রামের অভিযুক্ত ওই নারীকে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
এর আগে সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত ১২ টার দিকে পৌরশহরের ওই গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরে মঙ্গলবার ভোরবেলা আহত নুরুলকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেছে স্বজনরা। নুরুল কালুগাড়ী গ্রামের রহিম উদ্দীনের ছেলে। তিনি পেশায় একজন ইলেকট্রিশিয়ান। দাম্পত্যজীবনে তাদের দুই ছেলে-মেয়ে রয়েছে।
স্থানীয়রা জানায়, বিয়ের পর থেকেই সাজেদা বেগমের চারিত্রিক অবক্ষয়ের বিষয়টি সবার নজরে আসে। বিভিন্ন সময়ে সে একাধিক পর পুরুষের সঙ্গে তিনি ধরাও পড়েছেন। এ নিয়ে এলাকায় দফায় শালিস দরবারও হয়েছে।
ভুক্তভোগীর ভাতিজা শাহ্ আলম জানান, গভীর রাতে শোরগোল শুনে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি লোহার শাবলের আঘাতে তার চোখ উপড়ে গেছে। আঘাত কপাল ভেদ করায় সেদিক দিয়ে রক্তের সঙ্গে মাথার মগজ পড়ছে। এছাড়াও তার শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
তার অভিযোগ, একজন নারীর পক্ষে স্বামীকে এভাবে আহত করা সম্ভব না। তার দাবি সেখানে অন্য পুরুষ ছিল। রাতে বাড়ি ফিরে তাদের হাতেনাতে ধরে ফেলায় প্রেমিকের সহায়তায় নুরুলকে হত্যার চেষ্টা করা হয়।
তবে, সাজেদার দাবি সংসারে খরচসহ এনজিওর কিস্তির টাকা না দেওয়ায় সে নুরুলকে আঘাত করেছে। এদিকে আজ দুপুর পৌনে দুটায় হাসপাতাল নুরুলের ছেলে শামিম মিয়া জানান, নুরুলের অবস্থা আশঙ্কাজনক। কপালের আঘাত গুরুতর হওয়ায় ডাক্তার সিটি স্ক্যান করতে বলেছেন।
আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে পলাশবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ( ওসি) মাসুদ রানা জানান, পরকীয়ার বিষয়টি স্বীকার না করলেও দাম্পত্য কলোহের জের ধরে সাজেদা শাবল দিয়ে নুরুলকে আঘাত করেছে বলে স্বীকার করেছে।