২৮ নভেম্বর, ২০২২
মোঃ শামীম হোসাইন, 
ছবি: বামরাইল অনাথ বন্ধু মাধ্যমিক বিদ্যালয়
বরিশাল জেলার উজিরপুর উপজেলার বামরাইল অনাথ বন্ধু মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু ইউসুফ হোসেন এক নারীকে আয়া পদে চাকুরী দেয়ার কথা বলে ৪ লক্ষ টাকা ঘুষ নিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এঘটনায় এলাকায় চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। ২৭ নভেম্বর দুপুরে ভুক্তভোগী পরিবার ও প্রতিবাদী স্হানীয়রা অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিচারের দাবিতে স্কুলে জড়ো হয়েছিল। সুত্রে জানা যায় ওই স্কুলে একজন অফিস সহকারী ও একজন আয়া পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়। এরই প্রেক্ষিতে ২৬ নভেম্বর নিয়োগ পরিক্ষায় অফিস সহায়ক পদে
৭ জন অংশগ্রহণ করেন এরমধ্যে অফিস সহায়ক পদে মোঃ আলামিন হোসেনের চাকুরী হয়। আয়া পদে অংশগ্রহণ করেন ৪ জন। এরমধ্যে লিলি বেগমের চাকুরী হয়। এদিকে কালিহাতা গ্ৰামের মোঃ এনায়েত সিকদারের মেয়ে শাহানাজ বেগমকে চাকুরী দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে নগদ ৪ লক্ষ টাকা ঘুষ নেয়। কিন্তু তার চাকুরী না হওয়ায় অসহায় হয়ে পড়েছে ওই পরিবার। এরপর বিষয়টি এলাকায় চাউর হলে প্রধান শিক্ষক আবু ইউসুফ হোসেন ২৭ নভেম্বর রাতে এনায়েত হোসেন সিকদারের নিকট ৩ লক্ষ টাকা ফেরত পাঠান এবং বাকি টাকা পরবর্তীতে ফেরত দেয়ার অঙ্গীকার করেন। এছাড়াও ওই পরিবারকে এ নিয়ে বাড়াবাড়ি করার নিষেধ করে বিভিন্ন ভয়ভীতি ও হুমকি দেয়। বর্তমানে প্রধান শিক্ষকের হুমকির মুখে আতঙ্কে রয়েছে ভুক্তভোগী পরিবার। এ ব্যাপারে এনায়েত হোসেন সিকদার জানান আমার মেয়ে ঢাকায় গার্মেন্টসে চাকুরী করতো প্রধান শিক্ষক আবু ইউসুফ বলেন তোমার মেয়েকে গার্মেন্টসে চাকুরী করার দরকার নেই। চাকুরী ছেড়ে বাড়িতে ফিরিয়ে আনো। আমাকে নগদ ৪ লক্ষ টাকা দিলেই চাকুরী হয়ে যাবে। প্রধান শিক্ষকের কথা অনুযায়ী তাকে আমার শেষ সম্বল জমি বিক্রি করে ৪ লক্ষ টাকা দিয়েছি ও আমার মেয়ে চাকুরী ছেড়ে চলে আসে। কিন্তু ক্লার্ক জুয়েলের মাধ্যমে তার আত্মীয়কে চাকুরী দেয়। বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন মানুষের কাছে জানালে রাতে আমার বাড়িতে ৩ লক্ষ টাকা পাঠিয়ে দিয়েছে। বাকি টাকা কিছুদিন পরে ফেরত দেয়ার অঙ্গীকার করেন। এ ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক আবু ইউসুফ হোসেন জানান আমি ঘুষ নেইনি। তবে শুনেছি কমিটির লোকজন ৩ লক্ষ টাকা নিয়েছিল। চাকুরী না হওয়ায় টাকা ফেরত দিয়েছে। স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ডাঃ রাইসুল আল হাসান আল আরাফ জানান বিষয়টি শুনেছি, ম্যানেজিং কমিটির সকল সদস্যদের নিয়ে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এদিকে ওই দুর্ণীতিবাজ প্রধান শিক্ষকের বিচারের দাবিতে ফুঁসে উঠেছে ইউনিয়নবাসী। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এবিএম জাহিদুল ইসলাম জানান তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Good news
Good
