০১ ডিসেম্বর, ২০২২
ছবি: পলাশবাড়ী উপজেলায় মাধ্যমিক শিক্ষা ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে।
গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলার প্রায় মাধ্যমিক বিদ্যালয় ১ টার সময় বন্ধ হয়ে যায়। সরকারি পরিপত্র অনুযায়ী স্কুলগুলো সঠিকভাবে পরিচালিত হচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। স্কুলগুলোতে কমিটি গঠন নিয়ে দ্বন্দ্ব, নিয়োগ বানিজ্য, ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা কম, যোগ্য শিক্ষকের অভাব, অপরিস্কার-অপরিচ্ছন্ন ক্লাশ রুম। শিক্ষকেরা সময়মত স্কুলে না যাওয়া ইত্যাদি কারণে স্কুলগুলোর লেখাপড়ার মান একেবারে নিম্নগামী। যার ফলে পলাশবাড়ী উপজেলায় মাধ্যমিক শিক্ষা ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে এমন অভিযোগ অভিভাবক ও শিক্ষানুরাগীদের।
এদিকে এবছর পলাশবাড়ীর অনেক স্কুলের বিশাল অবকাঠামো শিক্ষক কর্মচারী সঠিকভাবে থাকার পরও এস,এস,সি পরীক্ষায় মাত্র অংশ গ্রহণ ১ জন, ৫ জন,১২ জন ১৮ জন।
যেমন, কিশোরগাড়ী ইউনিয়নের বেঙ্গুলিয়া হাজী আব্দুল গনি উচ্চ বিদ্যালয়ে মাত্র ২ জন পরীক্ষার্থী অংশ গ্রহণ করে ১ জন পাশ করেছে। পলাশবাড়ী পৌরসভার বঙ্গবন্ধু বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে মাত্র ১৩ জন ছাত্রী পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করে মোট পাশ করেছে ৮ জন। এদের মধ্যে এ প্লাস নাই।এ ১ জন, এ- ৪ জন, বি ২ জন সি ১ জন।
বিশাল অবকাঠামোর স্কুল কিশোরগাড়ী ইউনিয়নের বড় শিমুল তলা উচ্চ বিদ্যালয়, এখানে শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব রয়েছে। এ স্কুল থেকে পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করেন ৫১ জন, পাশ করেছেন ৪০ জন (হিসেব করে আবার পাওয়া ২৭ জন )। ফেল করেছে ১১ জন। A+ পেয়েছেন ২ জন,A ১১ জন, A- ১০ জন, C- ৪ জন। এ স্কুলে পাশের হার ৭৮℅।
বরিশাল ইউনিয়নের জুনদহ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করেছেন মাত্র ২৩ জন এর মধ্যে পাশ করেছেন ২২ জন।
মনোহরপুর ইউনিয়নের হালিমনগর উচ্চ বিদ্যালয়ে ১৪৪ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ১১১ জন পাশ করেছে। এস্কুলে ফেল করেছে ৩৩ জন পরীক্ষার্থী। পাশের হার ৭৮℅।
মেরীরহাট উচ্চ বিদ্যালয়ে মাত্র ৩৭ জন পরীক্ষার্থী অংশ গ্রহণ করে পাশ করেছে ২৮ জন, ৯ জন ফেল করেছে।
পবনাপুর ইউনিয়নের পূর্ব ফরিদপুর বেগম রোকেয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১২ জন, পাশ করেছে ৯ জন, এ স্কুলে এ প্লাস নাই।
মনোহরপুর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করেন ৫৭ জন, পাশ করেছেন ৩৩ জন, ফেল ২৪ জন, এ প্লাস পেয়েছেন মাত্র ১ জন।
পশ্চিম নয়নপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে মাত্র ১৭ জন পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করে ১৪ জন পাশ করেছে। ফেল ৩ জন। এ প্লাস নাই। হরিনাবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ে ৯৯ জন পরীক্ষার্থী অংশ গ্রহণ করে ৬৯ জন পাশ করেছে। ফেল ৩০ জন, এ প্লাস নাই।