৩০ এপ্রিল ২০২৫
হোম স্বাস্থ্য সারাদেশ জাতীয় রাজনীতি অর্থনীতি ও বাণিজ্য খেলাধুলা বিনোদন আন্তর্জাতিক ধর্ম ও জীবন লাইফ স্টাইল শিক্ষা প্রযুক্তি ও বিজ্ঞান পরিবেশ চাকরি বা ক্যারিয়ার মতামত আইন-আদালত কৃষি ও প্রযুক্তি বিশেষ সংবাদ অপরাধ সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিশ্বকাপ ফুটবল
সারাদেশ

পলাশবাড়ী কৃষকরা প্রণোদনার টাকা পাননি, ভুক্তভোগীদের অভিযোগ

০৩ ডিসেম্বর, ২০২২

মো:তৌহিদুল ইসলাম,
পলাশবাড়ী উপজেলা (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি

ছবি: পলাশবাড়ী উপজেলা কৃষি অফিস

পলাশবাড়ীতে কৃষকদের সেচ পাম্পের করোনাকালীন ১ একর জমির সেচ বাবদ ১ হাজার টাকা এবং জমি কাদাকরণ ও তিন চারটি সেচ বাবদ ১ হাজার করে টাকা সরকারি প্রণোদনা প্রদান করা হলেও পলাশবাড়ী উপজেলার কোন কৃষক এই প্রণোদনার টাকা পাননি। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ এ টাকা গেল কোথায়?

জানাযায়, খরিপ-১/২০১৯-২০ মৌসুমে আউশ উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে সেচ প্রণোদনা কর্মসূচি বাস্তবায়ন নীতিমালা /পদ্ধতি বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন(বিএডিসি)-এর সেচ স্কিমভুক্ত খরিপ-১/২০১৯-২০ মৌসুমে আউশ আবাদকারী কৃষক নির্বাচন, অগ্রাধিকার তালিকা প্রস্তুত ও অনুমোদন, সেচ প্রণোদনা বিতরণ প্রভূতি কার্যক্রম বরাদ্দকৃত অর্থের মধ্যে উপজেলা সেচ কমিটির মাধ্যমে সেচে প্রণোদনা কার্যক্রমের নীতিমালা অনুযায়ী বাস্তবায়িত হবে। শুধুমাত্র বিএডিসি'র নিজস্ব ব‍্যবস্থাপনায় এবং নিয়ন্ত্রণাধীন পরিচালিত সেচ স্কিমের কৃষকগণ এ প্রণোদনার আওতাভুক্ত হবেন; সেচ প্রণোদনা কর্মসূচি প্রাপ্তির পর দ্রুত বিএডিসি'র সংশ্লিষ্ট উপ-সহকারী প্রকৌশলী স্কিমের কৃষকদের তালিকা প্রণয়ন করে উপজেলা সেচ কমিটির অনুমোদন নিয়ে সহকারী প্রকৌশলী'র মাধ্যমে নির্বাহী প্রকৌশলী বরাবর প্রেরণ করবেন, নির্বাহী প্রকৌশলী আউশ মৌসুমে সেচে প্রণোদনার বিষয়টি উপজেলাভিত্তিক বরাদ্দের পরিমাণ পত্রের মাধ্যমে জেলা সেচ কমিটির সভাপতি'কে অবহিত করবেন, কৃষকের তালিকা প্রাপ্তির পর নির্বাহী প্রকৌশলী প্রণোদনার বরাদ্দকৃত অর্থ হতে আনুষাঙ্গিক খরচ ব‍্যতিত প্রত‍্যেক কৃষকের ব‍্যাংক হিসাবে সেচ খরচ বাবদ অর্থ ছাড় করবেন। যাদের ব‍্যাংক হিসাব নাই তারা ১০  টাকায় ব‍্যাংক হিসাব খোলার আওতায় ব‍্যাংক হিসাব খুলবেন। কোন অবস্থাতেই নগদে অর্থ পরিশোধ করা যাবে না, প্রতি কৃষক সেচ বাবদ ফসলের জন‍্য সেচে প্রণোদনার হিসেবে একর প্রতি ১ হাজার টাকা পাবেন। আংশিক জমির ক্ষেত্রে প্রণোদনার পরিমাণ আনুপাতিক হারে নির্ধারণ হবে, সংশ্লিষ্ট উপ-সহকারী প্রকৌশলী উপজেলা সেচ কমিটির মাধ্যমে মনোনীত প্রত‍্যেক কৃষকের ষ্ট‍্যাম্প সাইজের ছবিযুক্ত কৃষি উপকরণ কার্ডের ভুর্তুকি অংশের যথাযথভাবে উপকরণের পরিমাণ লিপিবদ্ধ করে যথারীতি মাস্টার রোল তৈরী করবেন। আদেশটি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কৃষি মন্ত্রণালয় বাংলাদেশ সচিবালয় প্রশাসন অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোঃ আরিফুর রহমান অপু স্বাক্ষরিত।
এদিকে একই খরিপ-১ /২০১৯-২০ মৌসুমে আউশ উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে সেচ প্রণোদনা কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন‍্য বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়নের অনুকূলে জমি তৈরি, কাদাকরণ এবং পরবর্তী ২-৩ টি সেচ বাবদ একর প্রতি ১০০০ টাকা হিসাবে ৬০ হাজার একর জমিতে টাকা বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে। এ পরিপত্রটি জারী করেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোঃ আমিরুল ইসলাম ১৯/৫/২০২০ ইং তারিখে।

এব‍্যাপারে পলাশবাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামরুজ্জামান নয়নকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি সে সময় ছিলেন না বলেন জানান।
পলাশবাড়ী বিএডিসি,র উপ-সহকারী প্রকৌশলীকে এ ব‍্যাপারে জিজ্ঞাসা করলে তিনিও এ বিষয়ে কিছু জানেন না বলে জানান। উপজেলায় বরেন্দ্রের আওতায়  সেচ পাম্প মালিকদের এ ব‍্যাপারে জিজ্ঞাসা করলে তারা জানান,সে সময় আমাদের কাছ থেকে একেকটি সেচ পাম্পের আওতায় ৭০ জন, ৯০ জন, ১০০ জন করে কৃষকের তালিকা করে তাদের দেওয়া ফরমে পুরুণ করে দিয়েছি। সে সময় বলা হয়েছিল ভুর্তুকি দেওয়া হবে। কোথায় সে ভুর্তুকির টাকা? কৃষকেরা এখনো আমাদেরকে ধরে ভুর্তুকির টাকার জন‍্য। পলাশবাড়ী অফিসের পরামর্শে গোবিন্দগঞ্জ বিএডিসি  সেচ ও বরেন্দ্র অফিসে খোঁজ নিতে গেলে তারাও এব‍্যাপারে কিছু জানেন না বলে জানান। ভুক্তভোগী কৃষকদের দাবী তাহলে এ টাকাটা গেল কোথায়?

Related Article
comment
মোঃ মনির হোসেন বকাউল
29-Sep-23 | 10:09

Good news

মোঃ মনির হোসেন বকাউল
10-Dec-23 | 04:12

Good