২৪ নভেম্বর, ২০২২
ছবি: চন্দ্রদ্বীপের একটি অংশ।
পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার অন্তর্ভূক্ত তেঁতুলিয়া নদী বেষ্টিত দ্বীপের নাম চন্দ্রদ্বীপ। এই দ্বীপের বয়স আনুমানিক প্রায় ১০০ বছরেরও বেশি। তবে এখনে নেই কোনো স্বাস্থ্য কেন্দ্র বা সরকারী চিকিৎসা কেন্দ্র। নেই কোনো ডাক্তার, নেই জরুরী নদী পারপার হওয়ার কোনো ব্যবস্থা। এখানে প্রতিনিয়ত প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হচ্ছেন গর্ভবতী, হাপাঁনি ও শ্বাসকষ্ট সহ দূরারোগ্য সকল রোগীরা। মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ দুর্ঘটনা ঘটলেও সময় ক্ষেপন ছাড়া আর কোন উপায় থাকেনা এ দ্বীপের মানুষদের।
উপজেলার নবগঠিত চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নের জন্ম ২০১৩ সালে উপজেলার মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন চন্দ্রদ্বীপের পারাপার হওয়ার একমাত্র উপায় হচ্ছে খেয়া। যেখানে দ্বীপটিতে জনসংখ্যা প্রায় ২৫০০০ হাজারেরও বেশি সেখানে নদী পার হওয়ার জন্য একটি মাত্র খেয়াঘাট।
এতে বিপাকে পড়তে হচ্ছে সাধারণ এ দ্বীপের মানুষদের। অন্যদিকে ইউনিয়নের আয়তন দিন দিন ছোট হয়ে আসছে। এতে দুর্ভোগের যেন শেষ নেই হত দরিদ্র মানুষের। বিচ্ছিন্ন এই ছোট দ্বীপে রয়েছে একটি হাইস্কুল ও একটি মাদ্রাসাসহ ছয়টি প্রাথমিক বিদ্যালয়। যথাযথ শিক্ষা ব্যবস্থা থাকলেও কোনোটাতেই নেই পর্যাপ্ত পরিমাণ শিক্ষক। এতে ব্যাহত হচ্ছে চন্দ্রদ্বীপের শিক্ষা ব্যবস্থা। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে শিশু-কিশোর ও শিক্ষার্থীরা।
ইউনিয়নের অধিকাংশ মানুষই পেশায় জেলে। এখানে শতভাগ লোকের আয়ের প্রধান উৎস নদী। আর কোনো কর্মসংস্থান না থাকায় বিশাল ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এই অঞ্চলের মানুষ। অন্যদিকে বর্ষার মৌসুমে বাউফল উপজেলা থেকে বিচ্ছিন্ন এই ইউনিয়নে চার পাশে থাকা তেতুলিয়া নদীর রাক্ষুসে ভাঙ্গনে বিলীন হয়ে যাচ্ছে ইউনিয়নের দক্ষিন ডিয়ারার কচুয়া, চরওয়াডেল, চরমিয়াজান ও চরব্যারেট গ্রাম। প্রতিনিয়তই বসতবাড়ী হারাচ্ছেন মানুষ। বর্ষার মৌসুমের আগেই অকাল ভাঙ্গানের হুমকির মুখে চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়ন ।
ইউনিয়নের বহু ঘরবাড়ী,মসজিদ মাদ্রাসা, সরকারি পাকা রাস্তা,প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাকৃতিক দূর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।এই সর্বনাশা ভাঙ্গন রক্ষায় নদীর চারপাশে ব্লক সহ বেড়ী বাঁধের সকল ধরনের সুবিধা ও সরকারী অনুদান পাওয়ার দাবি জানান এই অবহেলিত চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নের সর্বস্তরের জনগন।
ইউপি চেয়ারম্যান এনামুল হক আলকাস মোল্লা বলেন, ইউনিয়নবাসীর নিরাপত্তার জন্য আল্লাহ চাহেতো সকল প্রকার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। ইউনিয়নের চারপাশে নদী থাকায় জোয়ারের পানিতে অধিকাংশ এলাকাই তলিয়ে যায়। ফলে অনেক জায়গায় টেকসই বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে। তবুও প্রাকৃতিক দুর্যোগে বাঁধ ভেঙ্গে ঘর বাড়ি তলিয়ে যায়। ইউনিয়নটিকে রক্ষার জন্য বেশি পরিমাণে সিসি ব্লক দিয়া বাঁধ নির্মাণ করতে হবে। উপজেলা থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় এখানে একটি বিশেষায়িত হাসপাতাল জরুরী।
Good news
Good