৩০ এপ্রিল ২০২৫
হোম স্বাস্থ্য সারাদেশ জাতীয় রাজনীতি অর্থনীতি ও বাণিজ্য খেলাধুলা বিনোদন আন্তর্জাতিক ধর্ম ও জীবন লাইফ স্টাইল শিক্ষা প্রযুক্তি ও বিজ্ঞান পরিবেশ চাকরি বা ক্যারিয়ার মতামত আইন-আদালত কৃষি ও প্রযুক্তি বিশেষ সংবাদ অপরাধ সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিশ্বকাপ ফুটবল
রাজনীতি / জাতীয়

নয়াপল্টনের বাইরে প্রস্তাব পেলে ভেবে দেখবে বিএনপি

০৮ ডিসেম্বর, ২০২২

জুয়েল রানা,
স্টাফ রিপোর্টার

ছবি: বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি।

রাজধানীতে সমাবেশস্থল নিয়ে প্রশাসন ‘গ্রহণযোগ্য’ কোনো প্রস্তাব দিলে বিএনপি ভেবে দেখবে বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তবে তিনি এও বলেছেন, তার দল নয়পল্টনেই সমাবেশ করতে চায়।

রাজধানীর গুলশানে বৃহস্পতিবার বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আগামী ১০ ডিসেম্বর রাজধানীর নয়াপল্টনেই শান্তিপূর্ণভাবে গণসমাবেশ করতে চায় বিএনপি। তবে প্রশাসন গ্রহণযোগ্য অন্য কোন প্রস্তাব দিলে ভেবে দেখবে তারা।

মির্জা ফখরুল বলেন, 'আমরা পল্টনেই শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করতে চাই। শান্তিপূর্ণ সমাবেশের ব্যবস্থা করার দায়িত্ব সরকারের, অন্যথায় এর দায়িত্ব সরকারকে নিতে হবে।'

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশে সমস্যা কোথায় জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এখানে চারদিকে দেয়ালে ঘেরা। আর সেখানে এত সব স্থাপনা যে সমাবেশের সুযোগ নেই। বড় সমাবেশ করার উপযোগী নয় জায়গাটি।’

নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরাকারের দবিতে বিএনপি বিভাগীয় শহরগুলোতে ধারাবাহিক সমাবেশ করছে। তার শেষ কর্মসূচি হিসেবে রাজধানীতে সমাবেশের ঘোষণা দেয়া হয়।

ঢাকায় দলীয় কার্যালয়ের সামনে নয়াপল্টনে সমাবশে করতে চাইলেও পুলিশ তাতে আপত্তি জানায়। বিএনপিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করার জন্য বলা হলে তাতে আপত্তি জানায় দলটি। মৌখিকভাবে আরামবাগেও তারা সমাবেশ করার অনুমতি চায়। তবে সেই আবেদনও ফিরিয়ে দেয়া হয়। এর মধ্যে বুধবার বিএনপির পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন করে জানানো হয়, গ্রহণযোগ্য বিকল্প স্থানের প্রস্তাব দেয়া না হলে সমাবেশ হবে নয়াপল্টনেই।

বুধবারের ওই সংবাদ সম্মেলনের পর পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে দলটির নেতা-কর্মীদের। সড়কে জড়ো হওয়ায় তাদের সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করলে শুরু হয় পাল্টাপাল্টি ধাওয়া। প্রাণ হারায় একজন, পুলিশ গ্রেপ্তার করে সাড়ে চারশ ব্যক্তিকে। দলীয় কার্যালয়ে চালানো হয় অভিযান, উদ্ধার করা হয় হাতবোমা। জব্দ করা হয় চাল, ডাল, তেল, মসলা এবং রান্না করা কয়েক ডেকচি খিচুড়ি।

সংঘর্ষের পর মির্জা ফখরুল নয়াপল্টনে গেলেও পুলিশি বাধায় যেতে পারেনি। পরে দলীয় কার্যালয়ের সামনের ফুটপাতে বসে থাকেন সাড়ে তিন ঘণ্টা। বৃহস্পতিবার সকালেও তিনি সেখানে যেতে পারেননি। তাকে বিজয়নগরেই আটকে দেয় পুলিশ।

বিএনপি কার্যালয়কে ‘ক্রাইমসিন’ ঘোষণা করে সেখানে কাউকে ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না। ওই এলাকায় যান চলাচল ছিল বন্ধ। কড়া তল্লাশি করে স্থানীয় বাসিন্দা ও অফিসগামীদের ঢুকতে দেয়া হয়। সংবাদকর্মীরাও ওই এলাকায় ঢুকতে পুলিশের বাধার মুখে পড়ে।

সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘গতকাল (বুধবার) নয়াপল্টনে যে ঘটনা ঘটিয়েছে এটা গণতন্ত্রের কফিনে শেষ পেরেক মারার শামিল। আওয়ামী লীগ দেশ পরিচালনায় ব্যর্থ হয়ে গণ আন্দোলনের ভীত হয়ে দেশকে পুলিশি রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। নয়াপল্টন থেকে অবিলম্বে পুলিশ প্রত্যাহার করতে হবে এবং সেখানে সমাবেশ করার পরিবেশ ও তৈরি করতে হবে।’

বিএনপির মহাসচিব আরও বলেন, ‘আমরা নয়াপল্টনে সমাবেশ করার কথা বলেছি এবং সরকারের কাছে বলেছি, বিকল্প থাকলে সেটা আমাদেরকে বলুন। সেটা যদি আমাদের কাছে গ্রহণযোগ্য হয় তাহলে আমরা বিবেচনা করব।’

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ভাইস চেয়ারম্যান এজেডএম জাহিদ হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রমুখ।

Related Article