৩০ এপ্রিল ২০২৫
হোম স্বাস্থ্য সারাদেশ জাতীয় রাজনীতি অর্থনীতি ও বাণিজ্য খেলাধুলা বিনোদন আন্তর্জাতিক ধর্ম ও জীবন লাইফ স্টাইল শিক্ষা প্রযুক্তি ও বিজ্ঞান পরিবেশ চাকরি বা ক্যারিয়ার মতামত আইন-আদালত কৃষি ও প্রযুক্তি বিশেষ সংবাদ অপরাধ সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিশ্বকাপ ফুটবল
অপরাধ

বিদ্যালয়ের মাঠে দোকান বসানো নিয়ে হাট ও স্কুল কমিটির দ্বন্দ্ব

১৩ মে, ২০২৩

রইচ উদ্দীন আহম্মেদ,
মান্দা উপজেলা (নওগাঁ) প্রতিনিধি

ছবি: মান্দায় ফতেপুর হাটে স্কুলের সীমানায় বেড়া দেওয়ার চিত্র

নওগাঁ মান্দায় ফতেপুর বাজারে স্কুলের মাঠে ধান, ছাগলসহ বিভিন্ন রবি শষ্যে  দীর্ঘদিন থেকে ক্রয়-বিক্রয় আসছে। এই বিষয়টি নিয়ে স্কুল কমিটি ও হাট কমিটির মধ্যে অর্থের সমঝোতায় মাধ্যমে পরিচালিত হয়ে আসছে বলে  জানা যায়।

উভয়ের মধ্যে সমঝোতা না হওয়াই গত হাটে স্কুল কমিটির সভাপতি সহ সদস্যরা হাট বসাতে না দিয়ে স্কুলের সিমানা বেড়া দিলে উভয়ের মধ্যে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। ফলে দোকানদারদের চরম ক্ষতি হয়।
বিপাকে পড়ে অনেক দোকানদার দোকান বন্ধ করে ফিরে যেতে বাধ্য হয়। সাধারন মানুষের দাবী, হাটের মধ্যে অবৈধ স্হাপনা উচ্ছেদ করে দ্রুত হাটের জায়গা উম্মুক্ত করতে হবে। তা না হলে দীর্ঘদিনের হাটটি বিলীন হয়ে যাবে।

উল্লেখ্য ফতেপুর বাজার মান্দা,আত্রাই ও  বাগমারা তিন থানার মানুষের প্রয়োজনীয় সামগ্রী প্রাপ্তির একমাত্র হাট। সেজন্য এই হাট অত্রএলাকার মানুষের কাছে গুরুত্বপূর্ন। শতশত মানুষের একটাই দাবি হাটের জায়গা অবমুক্ত করে হাটের পরিবেশে ফিরে আনতে সংশ্লিষ্ট  কর্তৃপক্ষের কাছে  দাবী জানান।

স্কুল কমিটির সভাপতি আবু তালেব জানান,আমরা দীর্ঘদিন থেকে শিক্ষার পরিবেশ ফিরে আনতে হাট সরানোর জন্য চেষ্টা করছি এবং হাট কমিটিকে অবিহিতকরে কোন লাভ না হওয়ায় স্কুল মাঠ সংরক্ষণ করেছি। আমি চাই হাটের জায়গায় হাট বসাবে আমার কোন আপত্তি নাই। স্কুলের জায়গায় হাট বসতে না দেবার সিদ্ধান্ত নিয়েছি সকল কমিটির সমন্বয়ে। তাই সিমানা দিয়ে হাট তুলে দিয়েছি।

হাট কমিটির সভাপতি ও ইজারাদার জানান,আমরা চড়া মূল্যে দিয়ে হাটটি ইজারা নিয়েছি, যার অধিকাংশ অর্থ ধান, রবি শষ্যে,গবাদিপশু থেকে আসে এখন এই জায়গায় হাট বসতে না দিলে ক্ষতি পূরন কে দিবে, আমাদের ক্ষতি পূরন ব্যবস্থা করে সংশিষ্ট কর্তপক্ষ যেখানে বলবে সেখানে হাট বসাবো। অতিরিক্ত কোন জায়গা নেই, এছাড়াও মাঠের জায়গা এতদিন থেকে জেনে আসছি হাটের  আজ শুনছি স্কুলের মাঠের বিষয়টি নিষ্পত্তি করে আমাদের ক্ষতি থেকে রক্ষা করতে হবে। তা না হলে বিকল্প জায়গার ব্যাবস্থা করতে হবে।

মান্দার অধিকাংশ হাট অবৈধভাবে কিছু লোক দখল করে পাকা ঘর নির্মান করে ব্যাবসা পরিচালনা করেন। ফলে হাটের দিন বাহির হতে অস্থায়ী দোকান দার ও সাধারন মানুষ পন্য সামগ্রী বিক্রি করতে এসে চরম বিপাকে পড়ে। যাইগা না থাকায় ইজারাদার ও কোন ব্যাবস্থা নিতে পারেননা। তাই সাধারণ মানুষের দাবি কর্তৃপক্ষের কাছে  অবৈধ ঘরগুলো   উচ্ছেদ করে হাটের পরিবেশ ফিরে আনার প্রয়োজন ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জোর দাবি জানান।

Related Article