১৩ Jun, ২০২৪
ছবি: লোডশেডিং, এ রোগী ও শিশুদের আহাজারি
নাগরপুরে লাগামহীন লোডশেডিং, রোগী ও শিশুদের আহাজারি
একদিকে প্রচণ্ড গরম, অপরদিকে ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের কারণে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে নাগরপুরবাসীর জনজীবন। প্রচণ্ড গরমে দিনে-রাতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিদ্যুৎ না থাকায় মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। দিনে চার পাঁচ বার, আবার কোন কোন এলাকায় পাঁচ থেকে ছয়বারও বিদ্যুৎ আসা-যাওয়া করছে।
এমনকি নাগরপুর সদরে একটানা দুই থেকে চার ঘণ্টার বেশিও লোডশেডিং হচ্ছে । বাদ যাচ্ছে না নামাজের সময়ও। এতে কর্মজীবী মানুষের দৈনন্দিন কাজে চরম ব্যাঘাত ঘটছে।
গত কয়েকদিন ধরে নাগরপুর উপজেলায় মাত্রাতিরিক্ত লোডশেডিং শুরু হয়েছে। এর ফলে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে শিশু, শিক্ষার্থী, রোগী, কৃষক, ব্যবসায়ীসহ সববয়সী এবং বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষকে।
সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়তে হয় নবজাতক ও রোগীদের। বাহিরে কড়া রোদ আর ঘরে বিদ্যুৎ না থাকায় ভ্যাপসা গরমে ঠিকমতো ঘুমাতেই পারছেন না লোকজন।
পাশাপাশি অতিরিক্ত লোডশেডিং কারনে শিক্ষার্থীদের রাতে ঘুম না হওয়ায় দিনের বেলায় এর প্রভাব পড়ছে। পড়াশুনায় মনোযোগী হতে পারছেনা শিক্ষার্থীরা।
গত কয়েকদিন থেকে সকালের পর থেকে তাপমাত্রা বাড়তে থাকে। দুপুরে তীব্রতা আরও বেশি। মানুষের কষ্ট বেড়েছে কয়েকগুণ। প্রচণ্ড এ গরমে সবচেয়ে বিপদে আছেন খেটে খাওয়া মানুষগুলো। টানা গরম আর অনাবৃষ্টিতে মানুষের প্রাণ প্রায় ওষ্ঠাগত।
গরম বাতাস শরীরে লাগছে আগুনের হলকার মতো। ঘরে-বাইরে কোথাও স্বস্তি নেই। এর মধ্যে মরার ওপর খাড়ার ঘাঁ হয়ে এসেছে ঘন ঘন লোডশেডিং। লোডশেডিং হলে বাসার মধ্যে যেন দম বন্ধ হওয়ার মতো অবস্থা। পার্শ্ববর্তী বেশ কয়েকটি উপজেলার তুলনায় নাগরপুরে লোডশেডিংয়ের পরিমাণ অনেক বেশি।
একই অবস্থা ব্যবসায়ীদেরও। বিদ্যুৎ না থাকায় ক্রেতা সংকটে ক্ষতির মুখে পড়েছেন তারা। পবিত্র ঈদুল আযহা সন্নিকটে হওয়া সত্বেও লোডশেডিংয়ের তাণ্ডবে বাজারে ক্রেতার সংকট। ঈদের বেঁচাকেনায় বিদ্যুৎ না থাকায় অন্ধকারে অলস সময় পার করছেন তারা।
নাগরপুর সদরের ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, দিনে-রাতে গড়ে কয়েক ঘণ্টা করে ৪-৫ বার এমনকি মাঝে মাঝে এর থেকেও বেশি হচ্ছে লোডশেডিং। পিক আওয়ারে অতিরিক্ত লোডশেডিং হওয়ায় ক্রেতারাও আসছেন না। ফলে কমে গেছে কেনাবেচা।
ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ সকলেই এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণ চায়। পাশাপাশি তারা অতি দ্রুত যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট এই সমস্যার সমাধানের অনুরোধ জানিয়েছেন।
Good news
Good