১১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫
ছবি: শীতবস্ত্র দেওয়ার সময়
নাগরপুরের ৮ টি ইউনিয়নে সুবিধা বঞ্চিতদের শীতবস্ত্র বিতরণের মধ্যে দিয়ে সমাপ্তি হলো ধলেশ্বরী ফাউন্ডেশনের সমাজ কল্যাণ বিভাগের বাৎসরিক শীতবস্ত্র বিতরণ কর্মসূচী।
ধলেশ্বরী ফাউন্ডেশনের সমাজ কল্যাণ বিভাগের উদ্যোগে বাৎসরিক কর্মসূচীর অংশ হিসেবে নাগরপুরের আটটি ইউনিয়নে শীত বস্ত্র বিতরণের মধ্যে দিয়ে এই বছরের ন্যায় শীতবস্ত্র বিতরণ কর্মসূচী সমাপ্ত হলো৷
আজকে শীতবস্ত্র বিতরণের চতুর্থ অধিবেশনে ৭ ম ও ৮ম তম ইউনিয়ন ভাদ্রা ও দপ্তিয়র ইউনিয়নে শীতবস্ত্র বিতরণ সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে।
২০২০ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়া নাগরপুরের গনমানুষের এই প্রাণের সংগঠন ধলেশ্বরী ফাউন্ডেশন শুরু থেকেই সমাজসেবামূলক নানাবিধ কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। তারই ধারাবাহিকতায় প্রতি বছরের ন্যায় এবারও এই শীতার্তদের শীতবস্ত্র বিতরণে বিশাল কর্মযজ্ঞটি বাস্তবায়ন করা হয়েছে।
আজকের এই অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী ভাদ্রা ইউনিয়নের কৃতি সন্তান জনাব মোঃ কোহিনূর ইসলাম।
আরো উপস্থিত ছিলেন ধলেশ্বরী ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি ও পরামর্শ সভার অন্যতম সদস্য জনাব হাফিজুর রহমান আশরাফ।
সেই সাথে ফাউন্ডেশনের পক্ষ্যে থেকে উপস্থিত ছিলেন ধলেশ্বরী ফাউন্ডেশনের সম্মানিত সভাপতি মু. আব্দুন্নুর ইসলাম ও ফাউন্ডেশনের সহ-সভাপতি শ্রদ্ধেয় আবু বকর ইসরাফিল। আরো উপস্থিত ছিলেন ফাউন্ডেশনের সহ সাংগঠনিক সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম ও অফিস সম্পাদক খন্দকার ফেরদৌস করিম সহ ফাউন্ডেশনের ক্রীড়া সম্পাদক এন এম ইহসান, পাঠাগার সম্পাদক সুজন হোসাইন শুভ।
ফাউন্ডেশনের নেতৃবৃন্দ জানান, নয়া নাগরপুরের স্বপ্ন নিয়ে ধারাবাহিক পথচলতে থাকা এই ধলেশ্বরী ফাউন্ডেশনের অন্যতম কাজ হলো, সমাজের সুবিধাবঞ্চিত মানুষের পাশে দাঁড়ানো। এমনকি সমাজের একেবারে তৃণমূল পর্যায়ে পৌছে গিয়ে সুখে দুখে বিপদে আপদে সর্বস্তরের সুবিধা বঞ্চিত মানুষের সাথে থাকা।
আরো বলা হয়- প্রাণের নাগরপুরের মাটি ও মানুষের সাথে মিশে আছে জীবনের প্রতিটি স্পন্দন; এভাবেই পারিবারিক ও সামাজিকভাবে আমাদের বেড়ে উঠা। তাই যে কোনো ক্ষেত্রেই স্থায়ী অবস্থান তৈরির প্রধান শর্ত হলো তাকে ধারণ করা। আমাদের চিন্তা, জ্ঞান, সংগ্রাম এবং মুক্তির স্বপ্নসহ সবকিছুর শিকড় ও উৎস হলো আমাদের মাটি ও ভূখণ্ড। কেননা, নিজ ভূখণ্ডকে ধারণ করা সর্বঅবস্থায় নিজ মাটি মানুষের বিপদে আপদে পাশে থাকার মধ্য দিয়েই কেবল মুক্তির সোপান বুলন্দিত হয়। এজন্য নিজের স্বপ্নের একটা বিরাট অংশ ধারণ করে আছে এ মাটি ও মানুষের ছোঁয়া; আর একে কেন্দ্র করেই আমরা “ধলেশ্বরী ফাউন্ডেশন”কে সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।
এ অঞ্চলের বড় অংশই অত্যন্ত দরিদ্র, বেকার ও ভূমিহীন মানুষ। অথচ হাওড়, নদীসহ বনাঞ্চল ও কৃষি থেকে শুরু করে নানামুখী সম্ভাবনার এক আকর টাংগাইলের এই ভূমি। এজন্য এ অঞ্চলকে কেন্দ্র করে ছাত্র ও যুবসমাজকে সাথে নিয়েই ধলেশ্বরী ফাউন্ডেশনের কার্যক্রম। যুবক ভাইদের হৃদয়ে ভিশনারী বার্তা পৌঁছে দিয়ে, তৃণমূল মানুষের দোয়া ও ভালোবাসা নিয়েই নতুন নাগরপুর ও নতুন সমাজ গঠনের স্বপ্নকে ধারণ করেই ফাউন্ডেশনের পথচলা।
সর্বপরী, আগামীতেও তারা এই মানবিক কার্যক্রম নাগরপুরের ১২ টি ইউনিয়নে অব্যাহত রাখার অঙ্গীকার করেন।
সেই সাথে ধলেশ্বরী ফাউন্ডেশন-এর এই মহতী উদ্যোগ শীতার্ত মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে, ইনশাআল্লাহ।