১৭ মার্চ, ২০২৩
ছবি: সংগ্রাম করে বাঁচাতে হবে
দিনে দিনে আত্মহত্যা বেড়েই চলছে, এ যেন সবার কাছে অতি সাধারণ বিষয়, পত্রিকা খুললেই যেন যুবক, যুবতী, বিভিন্ন পেশার মানুষের নিজ হাতে আত্ম ত্যাগ শিরোনাম গুলো চোখে ভাসে। সচেতন মানুষ হয়েও কেন নিজের জিবনটা নিজে দিচ্ছে। অল্প কিছু জিনিসের জন্য যেমন টাকা, নারী, মোটরসাইকেল, মোবাইল ফোন, ঝগড়া বিবাদ, আসলে তুমি বুঝো না কেন জিবনের থেকে কি এই সব জিনিসের দাম বেশি কখনোই না, বেচে থাকলে সব কিছুই হইতো একদিন পাওয়া যাবে, যে কোন সমস্যা হলে তাও সমাধান করা সম্ভব কিন্তু নিজের জিবনটা ফিরিয়ে পাওয়া সম্ভব নয়।
নিজের জিবনটা নিজে হত্যা করছো কি লাভ এতে , আসলে ভেবেছো কি যার কারণে এইসব করো সে তোমায় চিরদিন মনে রাখবে কখনোই না, কারো প্রতি রাগ অভিমান করে আত্মহত্যা করা ছাড়াও বিভিন্ন পথ আছে ধৈর্য ধারণ করো প্রয়োজনে বাসা ত্যাগ করো দেখতে পাড়বে কে তোমায় কতটুকু ভালোবাসে ।।
শুধু শুধু আপন জনদের কষ্ট দাও কেন। সৃষ্টির সেরা জীব হয়ে নিকৃষ্টতম কাজ কেমনে করো ভাবো চিন্তা করো কি করা উচিত তোমার, আসলে খনিকের পৃথিবীতে আমাদের আশা আকাঙ্ক্ষার শেষ নেই, কি হবে অন্যের মতো সব কিছু না পেলে তোমার থেকেও তো কত নিজ পদের মানুষের এ সমাজে অভাব নেই, তারা কি বেঁচে নেই, যারা সারাদিন দু মুঠো অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসা, পাচ্ছে না।
সব সময় যারা জিবন যুদ্ধে ব্যস্ত তারা তো বেঁচে আছে তোমার মতো কা পুরুষের পরিচয় না দিয়ে।
ধৈর্য ধরে বাঁচতে শিখো মুসলমানদের চাওয়া হবে পরকালে দুনিয়াতে নয় । জীব হত্যা মহাপাপ জেনেও তুমি কিভাবে নিজেই নিজেকে হত্যা করো । পরিশেষে একটি কথা রাগ, অভিমান,আবেগ, ভালোবাসা এই সব কিছু নিয়ন্ত্রণ করতে শিখতে হবে মনে রাখতে হবে যত ভালো কিছুই হোক না কেন প্রয়োজনের অতিরিক্ত ব্যবহার করলে ক্ষতি সাধন হবেই।
ভেবেছো কি তুমি ক্ষতি সম্পূর্ণ তোমার ই হবে, দুনিয়াতে বদ নাম তো হবেই পরকালে চিরস্থায়ী শাস্তির ব্যবস্থা জাহান্নাম তোমার জন্য অপেক্ষা করছে। সময় থাকতে নিজের ভালোটা বুঝতে শিখো মরতে তো একদিন সবাই কে হবে, কি করলে দুনিয়াতে ও পরকালে চিরস্থায়ী শান্তি ও জান্নাত পাবো ঐ সব কাজ আমাদের করতে হবে। দুনিয়াতে যে উদ্দেশ্যে আমাদের পাঠিয়েছেন সেই উদ্দেশ্যে হাসিল করে আমরা কবরে যাব ইনশাআল্লাহ।
লেখক
মুঞ্জুরুল হক
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়