০৪ মার্চ, ২০২৫
ছবি: মির্জাপুর (টাঙ্গাইল)ঃ মির্জাপুরন ইটভাটা শ্রমিকদের বিক্ষোভ সমাবেশ
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে কয়েকদফা ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে বন্ধ হওয়া সাত ইটভাটা চালু এবং ইটভাটায় মোবাইল কোর্ট বন্ধের দাবিতে ইউএনও কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে সাবেক বিএনপি নেতা।
মঙ্গলাবার (৪আগস্ট) দুপুর বারোটায় কৃষক দলের কেন্দ্রিয় সাংগনিক সম্পাদক দীপু হায়হারের ভাই সাবেক টাঙ্গাইল জেলা কমিটির সদস্য ফিরোজ হায়দার খানের নেতৃত্বে কয়েকশ ইটভাটা শ্রমিকরা মির্জাপুর এসকে পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জড়ো হয়ে একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে ইউএনও কার্যালয়ের প্রবেশ পথ বন্ধ করে সমাবেশ করেছে।
ইটভাটা মালিক সমিতির সিনিয়র সহসভাপতি জয়নাল শিকদারের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন পৌর বিএনপি’র সাবেক সেত্রেটারি জুলহাস মিয়া, সানোয়ার হোসেন, জাকির হোসেন।
এতে প্রধানবক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ইট প্রসÍুত মালিক সমিতির কেন্দ্রিয় কমিটির সভাপতি ও সাবেক বিএনপি নেতা ফিরোজ হায়দার খান।
ফিরোজ হায়দার খান তার বক্তৃতায় বলেন, সারা দেশের সাড়ে ৮ হাজার ইটভাটায় ৫০ লক্ষের বেশি শ্রমিক কাজ করছে। একটি চক্র এই শ্রমিকদের পথে বসাতে চক্রান্ত করছে। চক্রান্তকারীরা তাদের চক্রান্তের মাধ্যমে ইটভাটা মালিক শ্রমিকদেরকে সরকারের মুখমুখী করার চেষ্টা করছে।
তিনি বলেন আমাদের ন্যায্য দাবি না মানলে সারা দেশে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। লক্ষ লক্ষ শ্রমিকদের সাথে নিয়ে আন্দোলনের মাধ্যমে ষড়যন্ত্রকারীদের উচিৎ জবাব দেওয়া হবে। তিনি বলেন যারা ইটভাটায় অভিযান করেছে সেই অফিসারদের আওয়ামীলীগের দোসর বলে অভিহিত করেন।
এসময় ২০১৯ সালের পরিবেশ আইন বাতিলসহ সাতদফা দাবি তুলে ধরেন। পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্ট ও বন,পরিবেশ ও জলবায়ু উপদেষ্টার বরাবর স্মারকলিপি দেন।
সহকারি কমিশনার (ভূমি) মাসুদুর রহমান স্মারকলিপি গ্রহন করেন।
শ্রমিকদের বিক্ষোভ ঠেকাতে ক্যাপ্টেন ফাহিম আহমেদ খান ও মির্জাপুর থানার অফিসার্স ইনচার্জ মোশারফ হোসেনের নেতৃত্বে বিপুল সংখ্যক সেনা সদস্য, পুলিশ ও আনসার মোতায়েন করা হয়।
উল্লেখ পরিবেশ অদিদপ্তরের ছাড়পত্র ও প্রয়োজনীয় অনুমোদন আছে কিনা তা যাচাইয়ের জন্য পরিবেশ অদিদপ্তর ও স্থানীয় প্রশাসন ইটভাটা গুলোতে নিয়মিত পর্যবেক্ষনের জন্য মোবাইল কোট পরিচালনা করে থাকে। আওয়ামীগ সরকারের সময় মির্জাপুরে সাত অবৈধ ইটভাটা গড়ে ওঠে। সরকারের পতন হলে পরিবেশ দপ্তরের নির্দেশে স্থানীয় প্রশাসন অবৈধ সাত ভাটায় কয়েকদফা মোবাইল কোর্ট পরিচালনা বন্ধ রাখার আদেশ দেন।
আদেশ অমান্য করে ওই সাত ভাটার মালিকগন তাদের ইঠভাটা সচল রাখলেও গত মাসে (ফেব্রুয়ারি) প্রশাসন অবৈধ সাত ইটভাটার চিমনি ও কিলন ভেঙ্গে ফেলে।
তার প্রতিবাদেই তারা এই বিক্ষোভ করছে বলে সমাবেশে আগত নীলফামারী জেলার বাসিন্দা শ্রমিক রব্বানী জানান।
Good news
Good