৩০ নভেম্বর, ২০২৩
ছবি: ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
মুখে অস্বাভাবিক হেয়ার গ্রোথকে চিকিৎসা বিজ্ঞানের পরিভাষায় 'হির্সুটিজম' বলা হয়ে থাকে।
মেয়েদের শরীরে বিশেষত ইস্ট্রোজেন হরমোন এর নি:সরণ ঠিকমতো না হলে মুখের পাশাপাশি সারা শরীরে চুল গজানোর মাত্রা বাড়তে শুরু করে।
এর ফলে ছেলেদের মতো মেয়েদের মুখেও দাড়ি-গোঁফ গজাতে শুরু করে। ফলে অপ্রীতিকর পরিস্থিতির সম্মুখীন তো হতে হয়ই, সেইসঙ্গে সৌন্দর্যও কমে যায় যা চোখে পরার মতো।
এই হরমোন নি:সরণ স্বাভাবিক এর চেয়ে কম নি:সরণ হলেও যেমন সমস্যা তেমনি আবার স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি নি:সরণ হলেও সমস্যা।
হোমিওপ্যাথিক গবেষণা মতে এগুলোর পেছনের আরো গভীরে অনুসন্ধান করলে হেরেডিটারী একই কারণ খুজে পাওয়া যায়। যেমন পিতা মাতার শরীরে লোম বেশি থাকলে তার সন্তানের এরকম হেয়ারী বডি গঠন হতে দেখা যায়।
দীর্ঘদিন হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা নিলে শরীরের এধরনের হরমোনাল ডিসফাংশন স্থায়ীভাবে দূর করা সম্ভব।
এছাড়াও নিয়মিত খালিপেটে মধু খাওয়া এর জন্য উপকারী। গ্রীণ টি নিয়মিত খেলেও উপকার হয়।
তাজা পুদিনা পাতার চা তৈরী করে খেলেও উপকার হয়। দুধ ও ময়দা একত্রে মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে ২০ মিনিট রেখে হাত দিয়ে আলতোভাবে ঘসে ঘসে তুললে মুখের অবাঞ্চিত লোম কিছুটা উঠে যায়।
মেয়েরা ভ্রূর চুল যেভাবে তোলে সেভাবে গোঁফ বা বিয়ার্ড না তোলাই উত্তম। কেননা গোঁফের গোরায় ইনফ্লামেশন হতে পারে। ইনফেকশন দেখা দিয়ে জটীলতা সৃষ্টি হতে পারে।
ডা. আসাদুজ্জামান রিপন,
ক্লাসিক্যাল হোমিওপ্যাথি এন্ড হিজামা থেরাপি সেন্টার, কুড়িগ্রাম।
০১৭৩৫৯৬৫১৬০