১৮ ডিসেম্বর, ২০২৩
ছবি: প্যারাবন কেটে চিংড়ি ঘের নির্মাণ
মহেশখালী উপজেলার কুতুবজোম ইউনিয়নের ঘটিভাংগার দক্ষিণে দিনে ও রাতে প্যারাবন কেটে চিংড়ি ঘের নির্মাণ করছে স্থানীয় একটি চক্র। এই চিংড়ি ঘের নির্মাণের ফলে একদিকে যেমন মহেশখালী দ্বীপ রক্ষা হুমকির সম্মুখীন হচ্ছে, অন্যদিকে পরিবেশ বিপর্যয়ের আশঙ্কা করছে স্থানীয় লোকজন। এদিকে প্রশাসনের চোখ রহস্যজনক বন্ধ হয়ে আছে।
আজ ১৮ ডিসেম্বর (সোমবার) সরজমিনে দেখা যায়, মহেশখালী উপজেলার কুতুবজোম ইউনিয়নের ঘটিভাংগার দক্ষিণে সরকারি জমি দখল করে যান্ত্রিক মেশিনের মাধ্যমে প্যারাবন কেটে চিংড়ি ঘের নির্মাণ করছে একটি প্রভাবশালী চক্র।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কুতুবজোম ইউনিয়নের ঘটিভাঙ্গা মৎস্য সমিতির নাম ব্যবহার করে কথিত একটি চক্র নির্বিচারে প্যারাবন কেটে বিশাল নদীর চর দখল করে চিংড়ী ঘের নির্মাণ করছে তারা। এইটি সোনাদিয়ার লাগোয়া ঘটিভাঙ্গা প্যারাবন ও চর। জায়গাটি বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল (বেজা) দেখা শুনা করায় ভুমিদস্যুদের বিরুদ্ধে অভিযানে যেতে নারাজ বন বিভাগ।
গত দুই বছর আগে মহেশখালীর ইউএনও'র নেতৃত্বে মহেশখালী থানা পুলিশ ও বন বিভাগের যৌথ অভিযানে উক্ত গ্রুপ থেকে সরকারি বিশাল খাস জায়গা দখলমুক্ত করতে সক্ষম হয়েছিল। এর পরে কিছু দিন বন্ধ থাকলেও ফের দখল করে চিংড়ী ঘের নির্মাণে আবারো সক্রিয় হয়েছে স্থানীয় এই চক্রটি।
মহেশখালীতে বিভিন্ন অঞ্চলে প্রভাবশালী ভুমিদস্যুরা নির্বিচারে প্যারাবন কেটে চর দখল করে চিংড়ী ঘের নির্মাণের হিড়িক পড়লেও বন বিভাগসহ সরকারি সংশ্লিষ্ট দপ্তর গুলো নিরব দর্শকের ভুমিকায় রয়েছেন বলে জানা যায়। এ সুযোগে নদীর চর দখলের প্রতিযোগীতায় নেমেছেন ভুমিদস্যুরা ।
এখন স্থানীয়দের মুখে প্রশ্ন: কারা এই কথিত চক্র? এর পেছনে নেতৃত্ব দিচ্ছেন কারা? প্রশাসন কেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে না? অবিলম্বে এই ভুমিদস্যু চক্রের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিয়ে প্যারাবন নিধন ও ভুমি দখলের অপরাধে শাস্তি মুলক ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানিয়েছেন স্থানীয় লোকজন।
Good news
Good