১৩ ডিসেম্বর, ২০২২
ছবি: মানুষের দেহের সকল অংশের মাঝেই মাইক্রোবায়োমের উপস্থিতি। মূল ছবিঃ ইন্টারনেট।
মানুষের দেহে থাকে কোটি কোটি ব্যাকটেরিয়া। অবাক হলেন! হ্যাঁ, এটাই সত্যি। আমার আপনার মুখগহ্বর থেকে শুরু করে পাকস্থলী, ৬ মিটার দীর্ঘ অন্ত্র পুরোটা জুড়েই আছে ব্যাকটেরিয়ার এই জগৎ। এই পরিবারের সদস্য সংখ্যা শুনলে চোখ কপালে উঠতে পারে। ১০০ ট্রিলিয়ন। আর এদের মধ্যে প্রায় ৫০০০ প্রজাতির ব্যাকটেরিয়া থাকতে পারে। একজন পূর্ণ বয়স্ক মানুষের শরীরের ওজনের প্রায় ২ কেজি ওজন হলো শুধুমাত্র এইসব ব্যাকটেরিয়ার অর্থাৎ মাইক্রোবায়োমের। প্রশ্ন হলো এদের কাজ কি? এরা আমাদের কোনো ক্ষতি তো করেই না, বরং এরা না থাকলেই বড় বিপদ। মাইক্রোবায়োম আমাদের শিশু অবস্থা থেকে এমনকি মায়ের জরায়ুতে থাকতেই ইমিউন সিস্টেম ডেভেলপমেন্ট এর কাজ করে থাকে। যার মাইক্রেবায়োম যত বেশী ডাইভার্স তার ইমিউনিটি তত শক্তিশালী। তার মানে হলো যার অন্ত্রে যত বেশী প্রজাতির ব্যাকটেরিয়া আছে তার তত বেশী রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা আছে। তো ডাইভার্সিটি বাড়ানোর উপায় কি? উপায় হলোঃ বিভিন্ন ধরনের প্রাকৃতিক খাবার গ্রহন করা, জাংক ফুড এড়িয়ে চলা, এন্টিবায়োটিক কম ব্যবহার করা, পিপিআই মানে এসিডিটি কন্ট্রোল এর ঔষধ কম খাওয়া, ধুমপান ও নেশা জাতীয় দ্রব্য পরিহার করা ইত্যাদি। জেনে নিলেন তো! এবার চলুন নিজের ইমিউনিটি বৃদ্ধির জন্য আজই কাজ শুরু করি। জীবনটাকে সুন্দর করি। সুস্থভাবে বাঁচি। মাইক্রোবায়োম গঠন করি।