০৪ জানুয়ারী, ২০২৩
ছবি: উত্তরাঞ্চলে শীতের প্রকোপ বাড়ায় খড়ে আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টায় ।
দুপুরেও সূর্যের তাপ না পড়ায় ভোরের চেয়ে দুপুরের তাপমাত্রার পার্থক্য খুব বেশি নয়। তখন পারদে উঠে ১৫ দশমিক ৪ ডিগ্রি। আগের দিন একই সময়ে যা ছিল ১৮ দশমিক ৬ ডিগ্রি। সোমবার এই তাপ ছিল ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে তাপমাত্রার যে অনুভূতি তা আরও খানিকটা কম। ১২ ডিগ্রির কাছাকাছি। কুয়াশার চাদরে ঢাকা চার পাশে বাতাসের ঝাপটা বাড়িয়ে দিয়েছে শীতের অনুভূতি।
কবি নজরুলের সুয্যি মামা জাগার আগে ঘুম থেকে উঠতে হলে ভোরেই জাগতে হবে? পৌষের শেষে এসে রাজধানীর যে চিত্র, তাতে চিরাচরিত এই বিষয়টি যেন নতুন করে ভাবতে হবে।
তবে এমন না যে, মামা এখনও ঘুমিয়ে। সে আড়মোড়া ভেঙেছে সময় মতোই। তবে পৌষের কুয়াশার চাদর তাকে দেখা দিতে দিচ্ছে না।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের হিসাবে বুধবার সূর্যোদয় হয়েছে সকাল ৬ টা বেজে ৪২ মিনিটে। তবে তার দেখা মেলেনি বেলা দেড়টাতেও। ঘর কুয়াশায় ঢাকা পড়েছে চার পাশ। যতটুকু আলো এসেছে, তাতে অবশ্য আঁধার কেটে দৃষ্টির বাধা দূর হয়েছে।
শীতের তীব্রতা অবশ্য খুব একটা বেশি বলা যাবে না, যদিও আগের দিনের চেয়ে কমেছে খানিকটা। মঙ্গলবার ভোরে রাজধানীতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৪ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সেটি বুধবার আরও খানিকটা কমে দাঁড়িয়েছে ১৪ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
দুপুরেও সূর্যের তাপ না পড়ায় ভোরের চেয়ে দুপুরের তাপমাত্রার পার্থক্য খুব বেশি নয়। তখন পারদে ওঠে ১৫ দশমিক ৪ ডিগ্রি। আগের দিন একই সময়ে যা ছিল ১৮ দশমিক ৬ ডিগ্রি। সোমবার এই তাপ ছিল ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
তবে তাপমাত্রার যে অনুভূতি তা আরও খানিকটা কম। ১২ ডিগ্রির কাছাকাছি। কুয়াশার চাদরে ঢাকা চার পাশে বাতাসের ঝাপটা বাড়িয়ে দিয়েছে শীতের অনুভূতি।
শীতের অনুভূতির আরও একটি কারণ আছে। ঢাকায় সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তামপাত্রার মধ্যে ব্যবধান বেশ কম। সর্বোচ্চ তামপাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের কর্মকর্তা তরিফুল কবির নেওয়াজ বলেন, ‘এই অবস্থা আরও তিন থেকে চার দিন থাকবে।’
তবে শীত বাড়লেও দেশে কোনো শৈত্য প্রবাহ নেই বলে জানিয়েছেন এই আবহাওয়াবিদ। বলেছেন, এক দিনে তাপমাত্রা ৪ থেকে ৬ ডিগ্রি কমে যাওয়ায় মানুষের অনভ্যস্ততার কারণে শীত বেশি মনে হচ্ছে।
আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক বলেন, ‘ভারতের দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ ও বিহার থেকে ঘন কুয়াশা বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। ফলে দিনের তাপমাত্রা কমে এসেছে।’
ঢাকা অবশ্য দেশের সবচেয়ে শীতল জায়গা নয়। আগের দিনের মতো এই ‘মুকুট’ আজও উঠেছে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলের মাথায়। আগের দিনের চেয়ে শূন্য দশমিক ৫ ডিগ্রি বাড়লেও ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা সেখানে কাঁপুনি ধরাচ্ছে গায়ে।
সেখানে অবশ্য সর্বোচ্চ আর সর্বনিম্ন তাপমাত্রার মধ্যে ব্যবধান বিস্তর। চা বাগান ঘেরা জনপদে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ২৬ ডিগ্রি।
এদিন দেশের উষ্ণতম স্থান কক্সবাজারের টেকনাফ। সেখানে তামপাত্রা রেকর্ড হয়েছে ২৮ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সেখানে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা অবশ্য ঢাকার চেয়ে কম, ১৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি।
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, মধ্যরাত থেকে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত সারাদেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে এবং এটি দেশের কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।
সারা দেশে রাতের এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। দিন ও রাতের তাপমাত্রা পার্থক্য কমে যাওয়ার কারণে দেশের উত্তর, উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল এবং মধ্যাঞ্চলে মাঝারি থেকে তীব্র শীতের অনুভূতি অব্যাহত থাকতে পারে।
Good news
Good