২৪ নভেম্বর, ২০২২
ছবি: কুড়িগ্রামে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যখন মাদক ও অশ্লীল কাজের অভয়ারণ্য।
কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার তবকপুর ইউপি'র ৯ নং ওয়ার্ড মধ্য উমানন্দ গ্রামে ২০০৮ ইং সালে বেসরকারি সংস্থা সেন্টার ফর ম্যাচ এডুকেশন ইন সায়েন্স ( সিএমইএস) কতৃক গড়ে উঠে একটি কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। প্রায় ১০ টি ট্রেডে বিভিন্ন মেয়াদে প্রতি বছর ১শ শিক্ষার্থী ভর্তি হওয়া শুরু হয়। খুব জাঁকজমক পুর্ণ পাঠদান চলতে থাকে। প্রত্যন্ত অঞ্চলের গ্রামীন জনপদে এই প্রতিষ্ঠানটি ব্যাপক সাড়া ফেলে। দীর্ঘ ৮ বছর পর ২০১৬ ইং সালে হটাৎ কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ করে চলে যায়। এবং শিক্ষা কার্যক্রমে ব্যাবহৃত কম্পিউটার সহ দামী ও প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সরিয়ে ফেলে। রেখে যায় শুধু মাত্র চেয়ার টেবিল ও আসবাবপত্র, যা ইতিমধ্যে ব্যাবহার অনুপযোগী হয়ে পরেছে। এমতাবস্থায় দীর্ঘ ৬ বছর যাবৎ অযত্ন আর অবহেলায় বাহ্যিক অবকাঠামো ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। শুধু তাই নয়,রাতের বেলায় বখাটে যুবকদের আড্ডায় মাদকদ্রব্য সেবন সহ অসামাজিক কার্যকলাপ, অনাচার, অশ্লীল কাজকর্ম প্রায় রাতে চলে মর্মে এলাকাবাসী অভিযোগ করে আসছেন।
সরেজমিন দেখা যায়, নামে মাত্র একজন কেয়ারটেকার মোঃ রাসেল মিয়া (২২) প্রায়ই নিজের কাজকর্ম নিয়ে ব্যাস্ত থাকেন। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,সে গত ১ বছর ঢাকায় অন্য একটি প্রতিষ্ঠানে চাকুরিরত।
উক্ত প্রতিষ্ঠানের জমি দাতা সংশ্লিষ্ট এলাকার বিশিষ্ট সমাজসেবক অবসর প্রাপ্ত জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আলহাজ্ব মোঃ আব্দুল হাই সরকার, রংপুর মেডিকেল কলেজের সাবেক তত্বাবধায়ক ডাঃ মওদুদ হোসেন রাবু, ফিনল্যান্ড প্রবাসী মোঃ খায়রুল ইসমাম জানান, এলাকার আর্থসামাজিক উন্নয়ন তথা দক্ষ জনশক্তি তৈরীর লক্ষ্যে আমরা উক্ত কারিগরি প্রতিষ্ঠানের জন্য প্রয়োজনীয় জমি দানপত্র করে দেই। কিন্তু এখন হিতে বিপরীত হয়ে গেছে। এখন এলাকাবাসীর দাবী,এই অঞ্চলের পরিবেশ ঠিক রাখার স্বার্থে পরিত্যাক্ত অবকাঠামো সহ ক্যাম্পাসে জরুরী ভিত্তিতে যে কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালু করতে হবে। অন্যথায় এলাকার পরিবেশ সহ পরিত্যাক্ত ভবন অল্প সময়ের ব্যবধানে ধ্বংস হয়ে যাবে।
বিশ্বস্ত সুত্রে জানা যায়, গ্রামীন ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ডক্টর মুহাম্মদ ইউনুস এর ছোট ভাই ড. ইব্রাহিম (সিএমইএস) এর প্রতিষ্ঠাতা এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক।
এই সংস্থাটির সেবামুলক কাজ বন্ধ থাকলেও চিলমারী সহ আরো কিছু জায়গায় মাইক্রো ক্রেডিট প্রোগ্রাম জাঁকজমকপূর্ণ ভাবে চলমান রয়েছে। চিলমারী থানাহাট শাখার ইনচার্জ মোঃ কামরুজ্জামান ক্রেডিট প্রোগ্রাম চলমান থাকার কথা স্বীকার করে বলেন, আমাদের কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হতদরিদ্র প্রশিক্ষণ নেয়া শিক্ষার্থীদের মাঝে ঋন দিয়ে থাকি। অথচ বাস্তবে ভিন্ন চিত্র।
Good news
Good