২৬ জানুয়ারী, ২০২৪
ছবি: র্যাবের-১৫ হাতে সর্দার বাদশা সহ ৫ সহযোগীরা
বঙ্গোপসাগরে জলদস্যু দমনে র্যাবের ব্যাপক অভিযান; লুণ্ঠনকৃত বিপুল পরিমাণ মাছ ও জাল উদ্ধার এবং আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদসহ কুখ্যাত জলদস্যু সর্দার বাদশা ও তার পাঁচ সহযোগী গ্রেফতার।
কক্সবাজার জেলার মহেশখালী থানাধীন কুতুবজুম এলাকার বাসিন্দা পেশায় সমুদ্রে মৎস্য আহরণকারী জনৈক মোঃ বেলাল হোসেন র্যাব-১৫ এর সদর দপ্তরে এসে গত ২২ জানুয়ারি অভিযোগ করেন। সেই অভিযোগের তথ্য ও র্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখার সার্বিক সহযোগিতায় র্যাব-১৫, কক্সবাজারের একটি চৌকস আভিযানিক দল ২৫ জানুয়ারি (বৃহস্পতিবার) দিবাগত রাতে বঙ্গোপসাগরের বাঁকখালী নদীর মোহনায় একটি ইঞ্জিনচালিত ট্রলারকে আভিযানিক দলের সন্দেহ হলে র্যাবের আভিযানিক দল ট্রলারটির গতিরোধের চেষ্টা করে।
এ সময় গ্রেফতারকৃত ডাকাতরা তাদের সঙ্গীয় পলাতক ডাকাতগণসহ র্যাবকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে। র্যাবও পাল্টা গুলি করলে ০৫/০৬ জন জলদস্যু সমুদ্রে লাফ দিয়ে পালিয়ে যায়। তাৎক্ষনিক র্যাবের আভিযানিক দল জলদস্যুদের ট্রলারের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ট্রলার থেকে জলদস্যুতার কাজে ব্যবহৃত অস্ত্র গোলাবারুদ ও ডাকাতি করা মাছ অন্যান্য মালামাল সহ ০৬ জন ডাকাতকে হাতেনাতে আটক করতে সক্ষম হয় এবং জলদস্যুদের হেফাজত হতে সর্বমোট ০৩টি দেশীয় তৈরী এলজি, ১৪টি কার্তুজ, ০৩টি ধারলো দা, ০২টি স্মার্ট ফোন এবং ০৮টি বাটন ফোন উদ্ধার করে।
র্যাব-১৫ গ্রেফতারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে আরও জানা যায় যে, জলদস্যুদের গডফাদার পেকুয়ার রাজাখালীর নুরুল আবছার বদু, জালাল আহমদ এবং কুতুবদিয়ার ইসহাক প্রকাশ ইসহাক মেম্বার গত এক সপ্তাহ আগে নিজেদের ফিশিং ট্রলারে করে জলদস্যুদের সাগরে পাঠায়।
গডফাদারদের নির্দেশনা অনুযায়ী আইনশৃংখলা রক্ষা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিতে নিজেদের ট্রলার নিয়ে রাজাখালীর কালু কোম্পানির বোট ডাকাতি করে মাঝিমাল্লাদের বেধড়ক পিটিয়ে অজ্ঞাত স্থানে নামিয়ে দিয়ে জলদস্যুরা কালু কোম্পানির বোট দিয়ে ডাকাতি শুরু করে যাতে গডফাদারদের চিহ্নিত করতে না পারে।
গ্রেফতারকৃত আল-আমিনের রেকর্ডপত্র যাচাই করে ০২টি এবং এরশাদের নামে ০১টি মামলার তথ্য পাওয়া যায়। উল্লেখ্য যে; পলাতক নুরুল আবছার বদু স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের তালিকা ভুক্ত জলদস্যু। তার বিরুদ্ধে ডাকাতি সহ প্রায় ৩০টি মামলা রয়েছে। জালাল আহমদ এর বিরুদ্ধে অস্ত্র মামলা সহ প্রায় ১০টি মামলা রয়েছে এবং মোঃ ইসহাক প্রকাশ ইসহাক মেম্বারও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত জলদস্যু। তার বিরুদ্ধে ডাকাতি মামলা সহ প্রায় ১০টি মামলা রয়েছে।
গ্রেফতারকৃত মোঃ বাদশা (২৭) একজন কুখ্যাত জলদস্যু সর্দার। কক্সবাজার অঞ্চলে মাছ ধরার সঙ্গে যুক্ত জেলে সম্প্রদায় ও অন্যান্যদের নিকট আতংকের অপর নাম বাদশা ডাকাত।
জলদস্যু দলকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, বাদশা ডাকাতের নেতৃত্বে আটককৃত জলদস্যু ডাকাত দলটি দীর্ঘদিন যাবত জলদস্যুতাসহ নানাবিধ অপরাধমূলক কর্মকান্ডের সাথে জড়িত রয়েছে। তারা সুযোগ বুঝে নদী ও সাগরে মাছ ধরার কাজে নিয়োজিত জেলেদের অস্ত্র-শস্ত্রের ভীতি প্রদর্শনসহ ট্রলার ও নৌকায় ডাকাতি করে থাকে।
উল্লেখ্য, গ্রেফতারকৃত ডাকাত দলটিতেও বরাবরের মতে প্রধান ভূমিকায় ছিল এই বাদশা ডাকাত।
র্যাব-১৫ জানান, গ্রেফতারকৃত এবং পলাতক জলদস্যুদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।
Good news
Good