১৯ নভেম্বর, ২০২২
ছবি: ধরলায় ভাঙ্গনকৃত এলাকা
কুড়িগ্রামের গত কয়েকদিনের স্রোতে আবার দেখা দিয়েছে ধরলার ব্যাপক ভাঙ্গন। কুল-কিনারা পাচ্ছে না মোগল বাসা ইউনিয়নের ভাঙ্গনের শিকার পরিবারগুলো।
আজ শনিবার ১৯ শে নভেম্বর দুপুরে কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার মোগলবাসা ইউনিয়নের ৭ ও ৮ নং ওয়ার্ডের চর সিতাইঝাড় ও চরকৃষ্ণপুর গ্রামের ধরলা নদীর তীরবর্তী দুইটি চরের গত সাত দিনের ব্যবধানে শতাধিক পরিবারের পুরাতন বসতভিটা, গাছপালা পারিবারিক কবরস্থান, দোকান ঘর ও প্রায় ৫০ একর আবাদি জমি গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। হুমকির মুখে রয়েছে কয়েকশত পরিবার। ভাঙ্গনের শিকার উমর আলী, মহুবর, মোকছেদ, ইছিবেওয়া, মনছূর, তেস্তার, লাল মিয়া হাছেন আলী ও নছব উদ্দিন সহ অনেকে জানান, গত ৭দিনের দিনের ব্যবধানে নদী ভাঙ্গনের শিকার হয়ে আমরা নিঃস্ব হয়ে গেছি। ধরলার দফায় দফায় ভাঙ্গনের তান্ডবে আমরা অসহায় হয়ে পড়েছি। কর্তৃপক্ষকে অবগত করেও কোন ফায়দা হচ্ছে না। আমরা পরিবারের লোকজন নিয়ে দুর্ভিসহ ভাবে জীবন যাপন করছি ।সরকারিভাবে বা বেসরকারি ভাবে কোন সুযোগ সুবিধা পাইনি। ধরলার ভাঙ্গনে রাতে ঘুম ধরেনা। ধপাশ, ধপাশ করে কাছার ভেঙ্গেকেড়ে নিচ্ছে ধরলানদী। একের পর এক এলাকা জুড়ে ।এখন শুধু স্বপ্ন থেকে যাচ্ছে। ভাঙ্গন রোধে প্রয়োজনীয় কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। আমরা কোথায় থাকবো তার স্থান নেই। বসতভিটা হারিয়ে যাওয়া অসহায় পরিবারের অনেকে পার্শ্ববর্তী চর সিতাইঝাড় বন্যা আশ্রয় কেন্দ্র, কলাবাগান বাহাদুর পাড়া মাঝের চর ও ফজলের মোড় সহ বিভিন্ন স্থানে ঠাঁই নিয়েছে। অনেকে অর্ধাহারে দিন কাটাচ্ছে। এ ব্যাপারে কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল আল মামুন এর সাথে মুঠোফোনে কয়েকবার কথা বলার চেষ্টা করা হলে ফোন রিসিভ করেনি।
Good news
Good