২৮ নভেম্বর, ২০২২
ছবি: ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতাল
প্রায় ২০০ বছরের পুরনো চিকিৎসা পদ্ধতি হোমিওপ্যাথি। এর প্রতিষ্ঠাতা জার্মানির প্রখ্যাত ডা. সামুয়েল হ্যানিম্যান। সারা পৃথিবী জুড়ে এলোপ্যাথি চিকিৎসার পাশাপাশি মানুষের চিকিৎসা সেবায় বিশেষ অবদান রেখে আসছে এই হোমিওপ্যাথি। বলতে গেলে এলোপ্যাথি চিকিৎসার পরপরই হোমিওপ্যাথি সারা পৃথিবীব্যাপী মানুষের কাছে জনপ্রিয়। বিশেষ করে গর্ভবতী মা ও শিশুদের চিকিৎসায় এখনো হোমিওপ্যাথি একটি নিরাপদ চিকিৎসা পদ্ধতি হিসেবে মানুষের পছন্দের শীর্ষে রয়েছে। এছাড়াও অত্যন্ত জটীল কিছু রোগ যেগুলো সাধারণত এন্টিবায়োটিক কিংবা অপারেশনেও সারেনা এমন রোগেরও চিকিৎসা হোমিওপ্যাথিতে আরোগ্য হয় বলে সকলের কাছেই এর জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছে।
এর ওষুধের দাম অনেকটা সহজলভ্য হওয়ায় অল্প খরচে মানুষের হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা নিতে আগ্রহ বাড়ছে।
সরকার সারাদেশের সদর হাসপাতালগুলোতে পর্যায়ক্রমে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা সেবা বৃদ্ধির লক্ষে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক নিয়োগ দিয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় গত বছর কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে একজন হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল অফিসার যোগদান করেন। এখানে বহি: বিভাগে টিকিট কেটে রোগীরা হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা ফ্রিতে নিতে পারছেন।
হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের জন্য রয়েছে আলাদা হোমিওপ্যাথিক কর্ণার।
বহি:বিভাগে চিকিৎসা নিতে আশা মো: জুয়েল বলেন তার দীর্ঘদিন থেকেই সর্দি কাশি লেগেই আছে। ওষুধ খেলে কিছুটা ভালো থাকেন তবে পুরোপুরি শরীর থেকে যাচ্ছে না। প্রায় সারা বছর লেগেই থাকে । সদর হাসপাতালে হোমিওপ্যাথিক ডাক্তার এসেছেন জানতে পেরে তিনি হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা নেয়ার জন্য এখানে এসেছেন। ওষুধ বাইরে থেকে কিনেছেন কিনা তাকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন না বাইরে থেকে কিনতে হয়নি ।এখানেই ফ্রিতে ওষুধ পেয়েছি। কর্তব্যরত হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল অফিসার ডা. আব্দুল্লাহ বিন সানোয়ার জানান বহি: বিভাগে প্রতিদিন গড়ে ৫০ থেকে ৬০ জন রোগী তিনি দেখছেন এবং প্রতিনিয়তই রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।
Good news
Good