০১ এপ্রিল, ২০২৩
ছবি: রাস্তায় চিত্র
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শহরের কাঠপট্টি থেকে ফেরিঘাট-হাসপাতাল সড়ক, প্রেসক্লাব থেকে থানা-এসিল্যান্ড সড়ক, পল্লী বিদ্যুৎ অফিস থেকে অফিসমহল্লা কালভার্ট সড়ক, রহমতপুর-বাসস্ট্যান্ড চৌরাস্তা সড়ক, হাইস্কুলের পেছনের সড়ক, রহমতপুর-রাডার সড়কের অসংখ্য খানাখন্দ এসব সড়কে যানবাহন চলাচল ঝূঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে।
বিশেষ করে কাঠপট্টি থেকে ফেরিঘাট-হাসপাতাল সড়ক নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিন্দার ঝড় উঠেছে।
সূত্র জানায়, ১৯৯৭ সালের পহেলা মার্চ নাগরিক সেবা প্রদানে কলাপাড়া পৌরসভা যাত্রা করে। ৯টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত পৌরসভার আয়তন ৩.৭৫ বর্গ কিলোমিটার। বর্তমান জনসংখ্যা প্রায় ২২ হাজার। ভোটার প্রায় সাড়ে ১৩ হাজার।
২০০৯ সালে এটি তৃতীয় শ্রেণি থেকে দ্বিতীয় শ্রেণিতে এবং ২০১৫ সালে এ পৌরসভাটি প্রথম শ্রেণির মর্যাদা লাভ করে।
পৌর এলাকায় পাকা সড়ক রয়েছে ২৬ কিলোমিটার ও কাঁচা সড়ক ৬ কিলোমিটার এবং ইটের সড়ক রয়েছে ১৬ কিলোমিটার। পৌরসভার সরু সড়কের ফুটপাথ দখল, রিকশা-অটো-ভাড়াটে মোটরসাইকেলের যত্রতত্র পার্কিং, প্রভাবশালীদের ইট-পাথর-বালু বহনকারী যান নাগরিক চলাচলে আরও দুর্ভোগ যুক্ত করেছে।
অটোচালক কালাম মিয়া জানান, বাজার থেকে ফেরিঘাট চৌরাস্তা সড়কে যাত্রী পরিবহন কম করি। এ সড়কে চলাচল করলে গাড়ি রিপেয়ার করা লাগে। বছরের পর বছর ধরে চলছে এ সমস্যা। যাত্রীরা এই সড়করে এ্যহন পৌরসভার ডিজিটাল সড়ক কয়।
পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী মো. সাইফুল ইসলাম জানান, বাজার-ফেরিঘাট চৌরাস্তা ১ কিলোমিটার সড়কের কার্পেটিং কাজ কুয়েত ফান্ডের নগর উন্নয়ন প্রকল্পের ৯২ লাখ ৯৪ হাজার টাকা ব্যয়ে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। অর্থ ছাড় পেলেই কাজ শুরু করা হবে।
এ ছাড়া অফিস মহল্লা-হাসপাতাল ৭৫৮ মিটার আরসিসি সড়ক এক কোটি ৩৪ লাখ টাকা ব্যয়ে এবং রহমতপুর-বাসস্ট্যান্ড চৌরাস্তা ১১২২ মিটার কার্পেটিং সড়ক কোভিড-১৯ প্রকল্পের ৭২ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। শিগগিরই এসব সড়কের কাজ শুরু করা হবে।
কলাপাড়া পৌরসভার প্যানেল মেয়র মো. হুমায়ুন কবির জানান, পৌরসভার অধিকাংশ সড়ক মেরামত করা হয়েছে। এখন সিসির বদলে আরসিসি করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে ১০-১২ কিলোমিটার আরসিসি সড়ক করা হয়েছে। এছাড়া সব সড়কের দ্রুত নির্মাণ ও সংস্কারে পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
Good news
Good