২২ ডিসেম্বর, ২০২২
ছবি: কক্সবাজারে পুরোহিতদের প্রশিক্ষণ কর্মসূচি সম্পন্ন
কক্সবাজারে পুরোহিতদের প্রশিক্ষণ কর্মসূচি সমাপনী অনুষ্ঠান ও সনদ বিতরণ সম্পন্ন হয়েছে।
ধর্মীয় ও অর্থ সামাজিক প্রেক্ষাপটে পুরোহিত ও সেবাইতদের দক্ষতা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্প (২য় পর্যায়ে) এর আওতায় পুরোহিতদের ৯দিন ব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মসূচি সমাপনী ও সনদ বিতরণ করা হয়েছে। প্রশিক্ষণের বিষয় ছিলো, হিন্দু আইন ও পূজা পদ্ধতি, ভূমি আইন, আইসিটি ও ডিজিটাল বাংলাদেশ এবং খাদ্য পুষ্টি ও স্বাস্থ্যসেবা। এতে কক্সবাজারের বিভিন্ন উপজেলার মোট ২৫ জন পুরোহিত ও সেবায়েত অংশ নেন।
২২ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার কক্সবাজার শহরের বি.কে পাল সড়কস্থ শ্রীশ্রী লোকনাথ সেবাশ্রম আয়োজিত পুরোহিতদের প্রশিক্ষণ কর্মসূচি সমাপনী ও সনদ বিতরণে সভাপতিত্ব করেন ট্রাস্টি বাবুল শর্মা। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি প্রফেসর সোমেশ্বর চক্রবর্তী।
সভায় সভাপতির বক্তব্যে ট্রাস্টি বাবুল শর্মা বলেন, পুরোহিত ও সেবাইতগণ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানাদি পরিচালনার পাশাপাশি পারিবারিক-সামাজিক বন্ধন ও নিরপাত্তা সুদৃঢ় করণীয় বিষয়ে, উৎপাদনসহ বিভিন্ন কর্মকান্ডে নিজেদের নিয়োজিত রেখে সমাজ তথা দেশের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবে। পুরোহিতদের হিন্দু আইন ও পূজা পদ্ধতি, ভূমি আইন, আইসিটি ও ডিজিটাল বাংলাদেশ, খাদ্য পুষ্টি ও স্বাস্থ্যসেবা বিষয়ে এবং সেবাইতদের বাল্যবিয়ে, যৌতুক, ইভটিজিং ও মাদকসহ সামজিক মূল্যবোধ, কৃষি ও বনায়ন এবং মৎস্য ও গবাদি পশু পালন বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেয়া হবে বলে এ সময় জানানো হয় ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি অধ্যাপক সোমেশ্বর চক্রবর্তী বলেন এই প্রশিক্ষণে অর্জিত জ্ঞানে পুরোহিত ধর্মীয়ভাবে অর্থাৎ পূজা-অর্চনা অত্যন্ত দক্ষতার সাথে করতে পারবে। সেই সাথে তাঁরা আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজে অংশগ্রহণ করে দেশের উন্নয়নে অবদান রাখতে পারবে। তিনি আরো বলেন, পুরোহিত সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তি তাদের ভূমিকা অপরিসীম । এ কারণেই পুরোহিত দক্ষতা বৃদ্ধি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি আরো বলেন, পুরোহিত ও সেবায়েতদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে ধর্মমন্ত্রনালয় যে আয়োজনটি করেছে, তা প্রশংসনীয়। আপনারা এই প্রশিক্ষণ বাস্তব জীবনে কাজে লাগিয়ে বিশাল জনগোষ্ঠীর উপকারে করবেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মন সংসদের সদস্য সচিব সনজিত চক্রবর্তী, সি,আই কাজল পাল, সুজন চক্রবর্তী, জুনিয়র কনসালটেন্ট রুমা দত্ত বিশ্বাসসহ প্রমুখ।
বিশেষ অতিথি সাংবাদিক সুজন চক্রবর্তী বলেন, উপজেলা ভিত্তিক হিন্দু বিবাহ রেজিস্ট্রাট যদি ইউনিয়ন পর্যায়ে চালু করা যায় সুশিক্ষিত পুরোহিতের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হবে। তাই হিন্দু বিবাহ রেজিস্ট্রাট কার্যক্রম বৃদ্ধি করা প্রয়োজন মনে করেন সনাতনী নেতারা।
Good news
Good